চট্টগ্রামে চিনিকলের আগুন নিভেনি ৩ দিনেও
ইতোমধ্যে তিন দিন পার হলেও পুরোপুরি নেভানো যায়নি চট্টগ্রামে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে লাগা আগুন। আগুন নিভতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে আগুন লাগার স্থান পরিদর্শন করেন ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের যত ধরনের প্রযুক্তি আছে তার সবই এখানে কাজে লাগানো হয়েছে। তারপরও এ আগুনের কাছে যেন সব চেষ্টাই ব্যর্থ। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে দাবি করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। তবে তা পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বৃহস্পতিবার বলেন, এস আলম চিনি কারখানার গুদামে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। পানি দিয়ে নেভানো যাচ্ছে না। এখানে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। সেগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। এ কারণে আগুন নেভাতে সময় লাগছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আজ সকালে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন।
তিনি বলেন, গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় পাঁচ থেকে ছয়তলা ভবনের মতো। এ গুদামে ন্যূনতম ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা রাখেনি প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে আগুন ব্যাপক আকারে ছড়িয়েছে।
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. হোসেন বলেন, একই স্থানে আমাদের মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। এ গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। যার সবটুকুই পুড়ে গেছে। এর বাজার মূল্য হাজার কোটি টাকার বেশি। গুদামটিতে এখনও আগুন জ্বলছে।
এদিকে আগুন কবে নিভবে তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আর আগুনে পুড়ে যাওয়া গলিত চিনি পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে দূষণে মারা যাচ্ছে মাছসহ নদীর নানা জলজ প্রাণী।
মন্তব্য করুন