সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা, সংকটাপন্ন শিশুর জীবন
এবার হবিগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনার সময় তামিম আহমেদ (১২) নামের এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। গত ১৫ দিন আগে অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করেছে প্রশাসন।
জানা গেছে, বুধবার বিকেলে উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে তামিম আহমেদকে খতনার জন্য বাজারে আনা হয়। এ সময় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আব্দুস শহীদকে ৫ হাজার টাকায় তামিমের খতনা করে দেওয়ার কথা বলে। এরপর হাসপাতালের তালা খুলে তামিমকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান তারা। হঠাৎ শিশুর চিৎকারে তার পরিবার অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখেন মালিক ও চিকিৎসক তামিমকে চড় মারছেন। তারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী আহত শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠান। এ সময় হাসপাতালের মালিক স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে খবর প্রকাশ করলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন।
বুধবার রাতেই আহত শিশুর চাচা হারুন মিয়া নবীগঞ্জ থানায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, খতনা করার সময় আমার ভাতিজার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। কী জন্য প্রতিষ্ঠানটি খুলে এমন ঘটনা ঘটানো হলো তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, আহত শিশুর চাচা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা এখনও শিশুটিকে দেখতে পারিনি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন