প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আ.লীগ নেতা পলাতক
সুনামগঞ্জের প্রেমিককে বেঁধে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার বন্ধুরা।
শুক্রবার (৯ মার্চ) রাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার বন্ধুরা ফেরারি রয়েছেন।
ভুক্তভোগী প্রেমিক-প্রেমিকার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মেয়েটির বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুরে আর ছেলেটির বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ গ্রাম। কয়েকমাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার তাড়া বাড়ি থেকে পালিয়ে কামারগাঁওয়ে ছেলেটির বন্ধু আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। সন্ধায় এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আবদুল করিম তাদের আফাজ উদ্দিনের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলে। রাতে জালালপুর গ্রামের ভেতর গিয়ে আবদুল করিম অটোরিকশায় গ্যাস নেই জানিয়ে তাদের নামিয়ে দেয় এবং মান্নারগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক আফছর উদ্দিনকে ডেকে আনে। এরপর ওই নেতা তাদের মারধর ও পুলিশে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। ভয়ে ওই তরুণ বন্ধুর বাবা মিয়াজান আলীকে ফোন দেয়। মিয়াজান আলী ঘটনাস্থলে এলে তাকেও ওই নেতা ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে রাত ১টার দিকে দু’জনকে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে ছেলেটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে আফছর ও তার বন্ধু ফয়জুল বারী, কামারগাঁওয়ের আবদুল করিম ও জালালপুরের ছয়ফুল ইসলাম মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
শনিবার (৯ মার্চ) ভোরে অসুস্থ কিশোরী ও তার প্রেমিককে আবার করিমের অটোরিকশায় তুলে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে পাঠায় আফসার। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাটাখালী বাজারের কাছে এসে তাদেরকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয় করিম। সকালে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য সিকান্দার আলীর সহযোগিতা চায় তারা। ওই পুলিশ সদস্য শনিবার দুপুরে ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশে খবর দেন। বিকেলে পুলিশ এসে নির্যাতিতা ও তার প্রেমিককে তাদের হেফাজতে নেয়।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা নির্যাতিতা ও তার প্রেমিকের বক্তব্যও শুনছেন। রাতেই নির্যাতিতা কিশোরী আফসরসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন