রমজানে প্রশান্তির আরেক নাম নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারের টক দই
মিষ্টির জন্য প্রসিদ্ধ এক নাম নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডার। তবে, রমজান মাসে তাদের মিষ্টি নয়, কাড়াকাড়ি পড়ে যায় টক দই নিয়ে। খাটি গরুর দুধ জ্বাল করে তৈরি করা হয় এই টক দই। স্বাদে-মানে অনন্য হওয়ায় নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারের টক দই এখন আলাদা জায়গা করে নিয়েছে শহরবাসীর মনে। রমজান এলেই ইফতার ও সেহেরীতে বাড়তি প্রশান্তির জন্য এ দই কিনতে রীতিমতো লাইন ধরেন ক্রেতারা।
প্রায় দশ বছর ধরে এই দই বিক্রি করে আসছে নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডার। শহরের চুড়িপট্টি ও ব্রীজের মোড় এলাকায় দুটি দোকানে বিক্রি হয় এই দই। দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ হাঁড়ি দই বিক্রি হয়ে থাকে। আগের বেলা সংগ্রহ করা না থাকলে পরের বেলায় ক্রেতাদের খালি হাতে ফিরতে হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এমনিতে মিষ্টান্ন জাতীয় পণ্যের জন্য বিখ্যাত নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডার। দেশে বিদেশে এই দোকানের মিষ্টির চাহিদা ব্যাপক। তবে রমযান মাস এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় টক দই কারিগরদের। গোয়ালা থেকে খাটি গরুর দুধ সংগ্রহ করে পুরো একদিন লেগে যায় বিশেষ এ টক দই তৈরি করতে। দইয়ের উপকরন ননি আগে থেকেই সংগ্রহ করা থাকে। ভালো করে দুধ জ্বাল করে তা দই এর পাতিলে তুলে উপড়ে ননি দেওয়া হয়। এরপর গ্যাসের চুলার অল্প আগুনে ধীরে ধীরে কয়েক ঘন্টা জ্বাল করে একদিন রেখে দেওয়া হয়। এরপর তৈরি হয় টক দই।
নওগাঁ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ম্যানেজার ফিরোজ হোসেন জানান, দশ বছর আগেও এখানকার ক্রেতাদের মাঝে টক দই সম্পর্কে ধারণা ছিলো না। নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারই প্রথম শুরু করে টক দই বানানো। ধীরে ধীরে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে রমজান মাসে এই দইয়ের বাড়তি চাহিদা থাকে।
তিনি জানান, শুধুমাত্র রমজান মাসে এ টক দইয়ের জন্য আলাদা জনবল নিয়োগ দিতে হয় তাদেরকে। ইফতার ও সেহেরীতে এই দই মানুষ অনেক পছন্দ করে। প্রতি এক পাতিল দই বিক্রি হয় ১৫০ টাকা দরে। পাতিল সহ ১ কেজি ১০০ গ্রাম ওজন থাকে দইয়ের।
মিষ্টান্ন ভাণ্ডারটিতে কথা হয় কয়েকজন ক্রেতারা সঙ্গেও। তারা জানান, শুধুমাত্র নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারের টক দই কেনার জন্য আগে থেকে বুকিং দিতে হয় এই রমজান মাসে। পরিবারের সবারই অনেক পছন্দ এই দই। বিশেষ করে রোজার মাস এলে এর চাহিদা থাকে প্রচুর। ভাত সঙ্গে মেখে, ঘোল বানিয়ে বিভিন্নভাবে খাওয়া হয় এই টক দই। গরমের দিনে এই দই শরীর ও মন দুটোই ঠান্ডা রাখে বলে জানান তারা।
মন্তব্য করুন