• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

ভূঞাপুরে ১ হাজার কলা গাছ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা

টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২০
ভূঞাপুরে ১ হাজার কলা গাছ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা
ছবি : আরটিভি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এক হাজারের অধিক ছড়িসহ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সহযোগী মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল আওয়াল টাঙ্গাইল কোর্টে মাজেদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একই ইউনিয়নের খরক গ্রামের মৃত ছোবাহানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম এ গাছগুলো কেটে ফেলেন বলে দাবি করেছেন আব্দুল আওয়াল।

জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল বিদেশে থাকাস অবস্থায় মাজেদুল ও ইকবালকে নিয়ে অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় ১৭ বিঘার জমি লিজ নেন। সেখানে কয়েকটি পুকুর খনন করা হয়। পরে পুকুরের চারপাশে কলাগাছ রোপণ করা হয়।

এরপর মাজেদুল তার ব্যবসায়িক সহযোগী আওয়ালের কাছ থেকে ২০২২ সালে ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে ২ বছর ভোগ দখলের জন্য ২টি পুকুরের কলা গাছ কিনে নেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় মাজেদুল তার লোকজন নিয়ে আওয়ালকে না জানিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলেন। যদিও গাছগুলো কাটার কোনো শর্ত ছিল না। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বরদের অবহিত করে বিচার চান ভুক্তভোগী।

অভিযোগের বিষয়ে মাজেদুল বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এখনো মেয়াদ শেষ হয়নি, আরও কিছুদিন রয়েছে। তাই আমি পরিপক্ক কলাগাছের গোড়ায় থাকা কলা গাছের আগাছা পরিষ্কার করেছি, কিন্তু কাটিনি। পরে জানতে পারি বড় বড় কলাগাছগুলো কে বা কারা কেটে ফেলেছে। এ ছাড়া কলাবাগানের চুক্তি শেষ হলেও কলা বাগান ও পুকুরের ১০ ভাগ শেয়ার রয়েছে আমার।

ভুক্তভোগী কলা গাছের মালিক আব্দুল আওয়াল বলেন, পুকুরে মাছ চাষ ও পুকুর পাড়ে কলা বাগান শুরু করার সময় থেকেই মাজেদুল এসব দেখাশোনা করতো। পরবর্তীতে তাকে ১০ ভাগ ব্যবসার শেয়ার দিয়ে সবকিছুর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সুযোগে মাজেদুল ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে টাকা পয়সা নয়ছয় করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে আসার পর মাজেদুলের কাছে হিসাব চাইলে সে টালবাহানা করতে থাকে। এ ছাড়া তার কাছে ২ বছরের জন্য কলাগাছ বিক্রি করলেও চুক্তিতে কর্তনের কোনো শর্ত ছিল না। সে স্থানীয় হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে কলা গাছগুলো কেটে ফেলেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, স্থানীয়দের কাছে জেনেছি মাজেদুল ইসলামসহ আরও দু-একজন আওয়ালের পার্টনার ছিল। তারমধ্যে মাজেদুল ও কলাগাছের মালিক আওয়ালের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, কলা গাছ কাটা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ভূঞাপুরে বিক্ষোভ 
ভূঞাপুরে সাইফুল হত্যা, প্রধান আসামি তিন দিনের রিমান্ডে
নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, ভূঞাপুর পৌরসভার অধিকাংশ বাড়িতে পানি
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের ৪ কাউন্সিলরকে গণপিটুনি