মেহেরপুরে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বৃদ্ধি, ক্রেতা নেই সবজির
মেহেরপুরে পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং আলুর দর বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। ঈদের সময় সবজির দাম আরও কমার কথা জানালেন ব্যবসায়ীরা।
মেহেরপুর তহ বাজার ও গাংনী কাঁচাবাজার জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজি বাজার। এ দুটি পাইকারি বাজারে রোববার (৭ এপ্রিল) প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫৪ টাকা, রসুনে ২০ টাকা বেড়ে ১৬৩ টাকা এবং আদা ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
পাইকারি তে দর বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খুচরা বাজারে দর। বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে এসব পণ্য কেজিতে আরও ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার সাহাদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে স্থানীয় পেঁয়াজ সংরক্ষণ শুরু হওয়ায় দর বেড়েছে। বিশেষ করে ফরিদপুর ও পাবনা অঞ্চলে মৌসুম ভিত্তিক পেঁয়াজ সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ঈদের সময়ে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ কারণেও দর বৃদ্ধি হতে পারে।
এদিকে সব ধরনের সবজির দর কমেছে। গত এক সপ্তাহের মতই আজও লাউ, কুমড়ো, পটল, ঢেঁড়স, বেগুন ও পুঁইশাকের দাম রয়েছে ১০ টাকার নিচে। ঈদে মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় আগামী এক সপ্তাহ সবজির দর আরও কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
রোজায় এবার সবচেয়ে আলোচিত ছিল শসার দাম। মাঝ রোজার সময়টাতেও শসার বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা ছিল। ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। সেই শসার কেজি এখন মাত্র ১১ টাকা। খুচরা পর্যায়ে গিয়ে ২০ থেকে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি বাজারে সবজি কিনতে আসা কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ী জানান, গত সপ্তাহে এক কেজি পটলের দর ছিল ৬০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫ টাকায়। এছাড়া ঢেঁড়সের দাম অর্ধেকে নেমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। অন্যদিকে আগের মতই কম দামে পাওয়া যাচ্ছে লাউ, পুঁইশাক ও বেগুন।
ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান মাস এবং ঈদের কয়েকদিন পর পর্যন্ত সবজির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। তবে এবার এ সময়টাতে স্থানীয় সবজির ব্যাপক জোগান থাকায় অনেকটাই পানির দরে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। ঈদের পরে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে উৎপাদন কমে আসবে। এতে আবারও সবজির দর আকাশচুম্বী হওয়ার আশংকা রয়েছে।
মন্তব্য করুন