নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে বাড়িতে স্বস্তি
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। নাবিকদের মধ্যে দুজন নোয়াখালীর— কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) ও চাটখিল উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)। তাদের মুক্তিতে পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। স্বস্তি এলেও বাড়ি না-ফেরা পর্যন্ত উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে পরিবার।
জানা গেছে, নাবিক রাজুর বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। ঈদের পর রাজুর বিয়ে উপলক্ষে নতুন ঘরের কাজও চলছে। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছরের নভেম্বরে শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠেন। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মি দশায় পরিবারের সব চিত্র বদলে যায়। ঈদের দুইদিন পর রাজুর মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে।
নাবিক রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক জানান, দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ।
অপরদিকে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিলে নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ছালেহ গত বছর কর্মস্থলে ঈদ করেছেন। পরিবারের আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবেন ছালেহ। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে স্বাভাবিক জীবন এলোমেলো হয়ে যায়। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ তানিয়া আক্তার স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের দুইদিন পরে নাবিক ছালেহ’র মুক্তির খবরে স্বস্তি এসেছে তার মাঝেও। এখন স্বামীর ফিরে আসার প্রহর গুনছেন তিনি।
তানিয়া আক্তার বলেন, সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে আমাদের সবার পরিবারের মাঝে স্বস্তি এসেছে। শঙ্কা কেটে সবার মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। তবে এখনও পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবেন তারা।
মন্তব্য করুন