বাসরের পর লাপাত্তা স্বামী, শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান তরুণীর
প্রেম করে বিয়ের পর বাসর রাত কাটিয়ে পরদিন শ্বশুর বাড়িতে নববধূকে রেখে পালিয়েছেন স্বামী। অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে চলে যায় সাত দিন। কিন্তু মনের মানুষ স্বামী ফেরত আসছেন না। অবশেষে কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী নববধূ।
ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের।
জানা যায়, অভিযুক্ত স্বামীর নাম নিশাত (২০)। সে ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. দুলাল শেখের ছেলে। আর ভুক্তভোগী তরুণী পাশের সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের সিদ্দিক সর্দারের মেয়ে।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, নিশাতের সঙ্গে তার ফেসবুকে পরিচয়। টানা ৯ মাস প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের। প্রেমের সুবাদে নিশাত মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতে যেতেন। গত ৯ এপ্রিল তার ব্যক্তিগত সম্মতিতে ওই তরণীর বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর বাসর রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান নিশাত। এরপর গত এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোনো যোগাযোগ করেনি।
তিনি আরও জানান, এই জন্য স্বামীর বাড়িতে আজ চলে এসেছি। এখানে আসলে বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই।
এদিকে তরুণীর উপস্থিতি টের পেয়ে নিশাতের পরিবারের সবাই বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যান। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণী শ্বশুরবাড়িতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তরুণীকে একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন উৎসুক প্রতিবেশীরা।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ট্রিপল নাইন নম্বরে ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানান ওই তরুণী। তবে কোনো অভিযোগ তিনি করেননি। যদি ভুক্তভোগীর পরিবার আমাদের সহযোগিতা চান, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন