• ঢাকা শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১
logo

তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি, পানি স্প্রের পরামর্শ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৫
ছবি : আরটিভি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র তাপদাহে আমের গুটি ঝড়ে পড়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন আম চাষিরা। এমনিতেই এ বছর মুকুল এসেছিল কম, গাছে যে কটা আমের গুটি টিকে আছে সেগুলোর বৃদ্ধিও ঠিকমতো হচ্ছে না তাপদাহের প্রভাবে। ঝরেও পড়ছে গুটি। এ সমস্যা থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে গাছে পানি স্প্রে করার পরামর্শ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার।

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার কিছুটা দেরিতেই ফুটেছিল মুকুল। পরিমানেও ছিল অনান্য বছরের তুলনায় কম। তারপরও শুরু থেকেই বাড়তি যত্নে বাগানগুলোতে মুকুল থেকে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আম। তবে কদিনের তীব্র তাপদাহ যেন শঙ্কায় ফেলেছে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের। গাছে থাকা আমের গুটির বৃদ্ধি ও টিকে থাকা নিয়ে তারা পড়েছেন চিন্তায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুর এলাকার আম বাগান মালিক রাজন ইসলাম বলেন, খরার কারণে আমের গুটির বড় হচ্ছে না, বোটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। সেচ দিয়েও খুব বেশি কাজ হচ্ছে না, শ্যালো যতক্ষণ চলছে ততক্ষণ, পানি সব দ্রুত সুকিয়ে যাচ্ছে।

আম সংগঠনের নেতারা বলছেন, এ বছরের শুরু থেকেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা আমের কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে চিন্তায় ছিলেন, চলমান তাপদাহ তাদের সেই চিন্তাকে আরও বাড়িয়েছে। অন্যদিকে সেচের কারণে বাড়ছে উৎপাদন খরচ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আম ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, এমনিতেই এ বছর শীতের কারণে মুকুল দেরিতে এসেছিলো, তার উপর মুকুল ঝরে যায় মার্চ মাসের অসময়ের বৃষ্টিতে। তখন বৃষ্টির দরকার ছিলো না, তখন বৃষ্টির কারণে মুকুলের ক্ষতি হয়েছিল, আর এখন বৃষ্টির অভাবে গাছে যেকটা আমের গুটি ছিলো তাও ঝড়ে যাচ্ছে। তাপদাহ আরও কিছুদিন চললে আরও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের। এমনিতেই এ বছর আম উৎপাদনের খরচ সবক্ষেত্রেই বেড়ে গেছে। আবার এখন সেচ দেওয়ার জন্য অনেকের খরচ আরও বাড়বে। সবমিলিয়ে এবছর খুববেশি স্বস্তিতে নেই ব্যবসায়ীরা। অনেকেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।

তবে এখনই আশাহত না হয়ে বাগানের সঠিক পরিচর্যা চালিয়ে যাওয়া ও তাপদাহ যতদিন চলমান থাকবে ততদিন বাগানে পর্যান্ত সেচ দেওয়া, তাপমাত্রা আরও বাড়লে সকালে বা বিকেলে গাছে সরাসারি পানি স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান।

তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বড় গাছ গুলোতে এবার মুকুল কম এসেছে, তবে ছোট গাছে ভালো মুকুল আছে। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা গেলে, কৃষি বিভাগ যে সাড়ে চার লাখ টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তার কাছাকাছি অন্তত যাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা।

মন্তব্য করুন

rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
১৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রশান্তিময় হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালের হজ 
হজযাত্রীদের প্রাণহানির সংখ্যা হাজার ছাড়াল
সৌদিতে তীব্র তাপদাহে ৯২২ হজযাত্রীর মৃত্যু, নিখোঁজ অনেক
শেষপাতে থাকুক তরমুজের চাটনি