সেফটি ট্যাংক থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পাঁচবাটি গ্রামে রিফাত হোসেনের বাড়ির পেছনে সেফটি ট্যাংক থেকে শনিবার সকালে জাকারিয়া আলম সম্রাট (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্রাট মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে এবং বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, সম্রাট লেখাপড়া করা অবস্থায় বোনারপাড়া ইউনিয়নের পাঁচবাটি গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে রিফাত হোসেনসহ (১৯) আরও কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে সম্রাট ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।
গত ১৭ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে রিফাত ও তার বন্ধুরা সম্রাটকে ক্যামেরা বিক্রির টাকা দেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে পাঁচবাটি গ্রামে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তাকে সকলে মিলে বেদম মারপিটে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকের ভেতরে রেখে দেয়।
এ দিকে সম্রাটের বাবা অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছেলের সন্ধান না পেয়ে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সাঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিফাতের বাড়ির পেছনের সেফটি ট্যাংক থেকে আজ সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে সাঘাটা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, ‘সম্রাটের বাবা নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি করায় আমরা সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রিফাতের বাড়ির পেছনের সেফটি ট্যাংক থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ক্যামেরা ভাড়া দেওয়ার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
মন্তব্য করুন