• ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১
logo

কচুরিপানায় তৈরি হচ্ছে উন্নত সার, খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার

আজিজুর রহমান পায়েল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

  ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৬

কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈবসার। দামে কম ও মানে ভালো হওয়ায় এতে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ব্যবহারে সুফল পাওয়ায় বাজারজাত করে বিক্রিও করা হচ্ছে এ সার। এর ফলে কমছে রাসায়নিক সারের ব্যবহার। রিজার্ভের এ সংকটে মুহূর্তে সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তৈরি হচ্ছে জলকমল নামে পরিচিত এ সার। এটি সবুজ শাকসবজি চাষে ব্যবহারে হচ্ছে। ব্যবসার পাশাপাশি এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে স্থানীয় বেকার যুবকদের।

মূলত অতিরিক্ত কচুরিপানার ফলে জেলার নৌপথ সংকুচিত হয়ে আসছিলো। পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়ে ওই এলাকার বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ।

নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে কচুরিপানা পরিষ্কার করে তা উৎপাদনশীল কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ।

এই সার কীভাবে উৎপাদন হয়?

প্রথমে নদী থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করা হয়। এরপর শেকড়ের অংশ কেটে দেড় টন পরিমাণ স্তূপ সাজনো হয়। ওই স্তুপে ১৫ সেন্টিমিটার পর পর ২শ’ গ্রাম করে ইউরিয়া, ট্রাইকোডার্মা ছত্রাক ও চুন ছিটানো হয়। এভাবে ধাপে ধাপে তৈরি হচ্ছে কচুরিপানার জৈবসার জলকমল।

নবীনগর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু নোমান বলেন, এই সার তৈরিতে সময় লাগে মাত্র দুই মাস। প্রাথমিকভাবে ১০ জন কৃষকের সমন্বয়ে তৈরি প্ল্যান্ট থেকে প্রতিমাসে ৫ টন সার উৎপাদন করা যায়।

নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, উপজেলায় এ জৈবসার ব্যবহারে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমেছে ২৫ ভাগ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ও হচ্ছে।

এ দিকে এ প্রকল্পটি উদ্ভাবনী মেলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ১০টি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হলে প্রতিমাসে ৫০টন জৈব সার উৎপাদন সম্ভব, যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পৌরসভার গাড়িচাপায় প্রাণ গেল পরিচ্ছন্নকর্মীর
বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিলুপ্ত প্রায় গুটিদাড়া খেলা অনুষ্ঠিত
পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে কারখানা মালিককে কারাদণ্ড