হলফনামায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর তথ্য গোপন
নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন, ভুয়া আইনজীবী দিয়ে হলফনামা সনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানা নিয়ে নির্বাচনে প্রচারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের নাম শেখ মো. বায়জীদ হোসেন। সে পিরোজপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলার সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দ্রুত এ সময় বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. শফিউল হক অভিযোগ করে জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থক রনি সাহাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার প্রধান আসামি শেখ মো. বায়জীদ হোসেন। গত বছর ১৮ ডিসেম্বর তাকে প্রধান আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় দায়ের করা হয়। পরে উচ্চ আদালত থেকে বায়জীদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জামিন পান। তবে জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও বায়জীদ পিরোজপুরের দায়রা জজ আদালতে হাজির না হওয়ায় ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর পরও পুলিশের উপস্থিতিতেই বায়জীদ নির্বাচন অফিসের কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন এবং প্রতীক নেন।
তিনি আরও জানান, বায়জীদের প্রচারণায় পিরোজপুর সদর উপজেলার চিহ্নিত মাদক কারবারি, বিভিন্ন মামলার আসামি ও চাঁদাবাজকে দেখা যাচ্ছে। যারা সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। বায়জীদ যে নির্বাচনী হলফনামা জমা দিয়েছেন সেখানে মিথ্যা তথ্য এবং তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া ভুয়া আইনজীবী কর্তৃক হলফনামায় পরিচয় শনাক্ত করেছেন।
নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. শফিউল হক বায়েজীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছেন।
শফিউল হক আরো অভিযোগ করেন- শেখ মোঃ বায়জীদ হোসেনের হলফনামার পরিচয় শনাক্তকারী এডভোকেট অরুণ কান্তি মণ্ডলের বার কাউন্সিল আইনজীবীর সনদ নেই। হলফনামার পরিচয় শনাক্তকারী এডভোকেট অরুণ কান্তি মণ্ডলের বার কাউন্সিলের সনদ ভুয়া বলে তা বাতিল করে দেয় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও বিশেষ কোন কারণে তার কোন সুরহা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মো. বায়জীদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, প্রার্থীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত জানাবে। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন