‘ক্যাসিনো’ সেলিমের প্রার্থিতা স্থগিত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ আদালতে আটকে গেল।
সোমবার (৬ মে) সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশের ওপর এই আদেশ জারি করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধান।
গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম প্রধান আপিল করলে গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আপিল খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন। ৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে রিট করেন সেলিম প্রধান।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম প্রধানের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২ মে বৃহস্পতিবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। তার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হয়। পরে বিচারক এম. এনায়েতুর রহিমের আদালত সেলিম প্রধানের করা রিটের বিষয়বস্তুর ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে।
হাবিবুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এ সময় তার সহকারী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশের ওপর স্থায়ীভাবে স্থিতাবস্থা জারি করেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছিল, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো বা অনলাইন জুয়ার মূলহোতা। তিনি প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ ঘটনায় তখন তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন