হাসপাতালে মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেলেন স্বামী
পটুয়াখালীর বাউফলের মোসা. তাকিয়া বেগম (১৯) নামের এক নববধূর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী ও তার আত্মীয়-স্বজনরা। স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে জেলার বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোসা. তাকিয়া বেগমের চাচাতো ভাই মো. সোহরাব হোসেন বলেন, প্রায় এক বছর আগে বাউফলের বিলবিলাস এলাকার ফজলু গাজীর ছেলে মিরাজ গাজীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হোসেন হাওলাদারের মেয়ের তাকিয়ার বিয়ে হয়ে। বিয়ের ৫ মাস পর থেকে চাচতো বোন বলতো, স্বামী যখন ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে তখন যৌতুকের জন্য মাদক সেবন করে নির্মম নির্যাতন করতো। আগে যদি জানতাম ছেলে মাদকাসক্ত তাহলে বোনকে বিয়ে দিতাম না।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কিছু বলিনি। ভাবতাম স্বামী-স্ত্রীর বিষয় তেমন কোনো ঘটনা ঘটবে না। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মিরাজ গাজী নির্মম নির্যাতন করে তাকিয়ার শরীরের মাংস থেতলে ফেলে। এ সময় তার হাত ভেঙে যায়। সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে, আত্মহত্যার চেষ্টার নাটক সাজায় স্বামী মিরাজ গাজী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকিয়াকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামীসহ তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আমরা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি, যাতে আর কোনো বাবা তার মেয়ে না হারায় আর কোনো ভাই যাতে তার বোনকে না হারায়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন