রংপুরের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর শিপলুর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক
রংপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা-জালিয়াতি করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ, জমি দখল ও ঘোষ দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে দুদক।
দুদুকের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে নির্ধারীত সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গত ২ মে ওই চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া আলম শিপলুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। নানা অপকর্মের হোতা শিপলুর বিরুদ্ধে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে প্রায় এক ডজন। নিজস্ব বাহিনী রয়েছে শিপলুর। জমি জবর-দখল, হামলা, মিথ্যা মামলা করাই তাদের মূল কাজ। এই বাহিনীর অনেকেই জড়িত রয়েছেন মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে।
এসব মামলায় সদ্য অতীতে কারাবন্দি হয়েছেন শিপলু। এমনকি দণ্ডপ্রাপ্তও হয়েছেন আদালত থেকে। যে কারণে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত বছরের ১৫ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা সি আর ১৭২/১৭ নং মামলায় এক বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এই রায় দেন আদালত।
ওই সময়ে অসুস্থতা দেখিয়ে আদালত থেকে জামিন নেন তিনি।
পরবর্তীতে অন্যান্য মামলায় ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল রাতে রংপুরের তাজহাটের নিজ বাসা থেকে শিপলুকে গ্রেপ্তার করে রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ।
পরদিন দুপুরে রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আহসানুল হক রানার আদালতে তাকে তোলা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে থাকা চারটি ওয়ারেন্টভূক্ত মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করলেও ১৮১/২২ নম্বর চাঁদাবাজি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কয়েক সপ্তাহ পরে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে যান জাকারিয়া আলম শিপলু।
মন্তব্য করুন