সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাইফুল আলম দিপুর গণসংযোগ
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির পরিচালক সাইফুল আলম দিপু।
বুধবার (১৫ মে) সকালে আনারস প্রতীকের সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নিয়ে উপজেলার ছমিরমুন্সীর হাট, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সেবারহাট বাজারে গণসংযোগ কর্মসূচি করেন।
এ সময় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম ভূঁইয়া রিগান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হকসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন বাবাও
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম (৪৫) নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাবারও মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শরিফুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত ছিলেন।
শরিফুল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সাতাশিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শরিফুল তার বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তার বাবা নজরুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এম এ নোমান গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে নিহত শরিফুলের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এসএ
খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)। তাদের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে ‘গণপিটুনিতে’ মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে লারমা স্কয়ারের দোকানপাটে আগুন দেয় একপক্ষ। এতে ৬০ থেকে ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পি চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ১৬ জনকে আনা হয়। এর মধ্যে তিনজন মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে। বর্তমানে হাসপাতালে আরও ৯ জন চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও জানান, রাতেই চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরটিভি/এএএ
নেতারা আমাদের ভোগের পণ্য মনে করতেন: যুব মহিলা লীগ নেত্রী
গত ৫ আগস্ট জনরোষে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। এরপর দলটির নেতাদের অনেকে দেশ ত্যাগ করতে পারলেও সিংহভাগই আত্মগোপনে রয়েছেন। এরই মধ্যে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-নেত্রীদের নামেও মামলা হওয়া শুরু হয়েছে। তাদেরই একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি উম্মে হানি সেতু।
সম্প্রতি সেতুর একটি ভয়েস রেকর্ড সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন, যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।
ওই ভয়েস রেকর্ডে সেতু বলেন, ‘দল করেছি কিন্তু কখনও ভালো জায়গায় রাখেনি। নেতারা বাঁকা করে তাকিয়েছেন, কেন তাকিয়েছেন সেটাও বুঝি? দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী ছিলাম, বিশ্রী তো আর না! কোন নেতা কোন দৃষ্টিতে তাকিয়েছেন, সেটা জানি। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) কখনোই বোনের সম্মান দেননি। সবসময় তারা আমাদের ভোগের পণ্য মনে করতেন। যে মেয়ের শরীরে উনারা (নেতারা) হাত দিতে পারতেন, তাকেই ভালো পদ দিতেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার নামে তিনটি মামলা হয়েছে। আমিসহ কয়েকজন মামলা খেয়েছি। অনেক সিনিয়র নেত্রীরা আছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। আমি মামলা খেয়ে অনেক কষ্ট করতেছি, তারা ভালো থাকুক। মামলা খেলে তাদের কষ্ট হওয়ার কথা ছিল না, তাদের ঘরে কোনো বাচ্চা নেই। আমার ১৬ মাসের একটি ছোট বাচ্চা আছে। ওই বাচ্চাটাকে ফেলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পড়ে আছি। একটা মানুষ আমার বাসায় খবর নেয় না, আমার ছোট তিনটা বাচ্চা কী খায়, বাচ্চাগুলো কী করে, বাড়িতে বাজার আছে কি না? তা ফোন দিয়ে কেউ খবর নেয়নি। তাতেও কোনো দুঃখ নেই।’
উম্মে হানি সেতু বলেন, ‘বাংলা কথা বলি, এই নোংরা নেতাগুলোর কারণে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়েছে। শুধু ইউনিয়ন লেভেল, উপজেলা লেভেল বা জেলা পর্যায়ে না, কেন্দ্রীয় নেতাদের পর্যন্ত অনেক অনেক নোংরা নোংরা খবর আসতেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা নায়িকাদের নিয়ে ফূর্তি করতেন। এগুলো করে বাংলাদেশে গজব নাজিল করেছে আওয়ামী লীগের ওপর।’
তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যেও আমাদের অনেক নেতাদের সান্নিধ্যে অনেকেই ছিল, যারা ছিল তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা যারা অবাধ্য ছিলাম, তাদের কথা শুনিনি, আজকে আমরাই মামলা খেয়েছি। দল ক্ষমতায় আসলে সুসময়ের পাখিরা আবার সুবিধা পাবেন। যারা কোলে বসতে পারেন তাদেরই ভালো জায়গা থাকে।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। সেগুলোতে উম্মে হানি সেতু নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ভয়েস রেকর্ড পাঠান। তবে আমাদের মধ্যের কেউ সেই রেকর্ড ফাঁস করেছেন। এটি খুবই দুঃখজনক।
ভয়েস রেকর্ড সম্পর্কে উম্মে হানি সেতু বলেন, ‘আমি মামলা খাইয়া দৌঁড়ের ওপর আছি, আমি কোনো বক্তব্য দিইনি। পারলে প্রমাণ করুন।’
আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন এটি আপনি গ্রুপে দিয়েছেন, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন বদমায়েশি করে তখন মনে থাকে না, এখন আমারে নিয়া নাচতে আইছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় শিশুর শরীর ঝলসে দিলেন নারী
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক বৃদ্ধকে দেখে ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় পপি আক্তার (১০) নামে এক শিশুর শরীর গরম পানিতে ঝলসে দিয়েছেন ছায়ের খাতুন (৫৫) নামে এক নারী। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াজের বাড়িতে ঘটে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন।
আহত পপি আক্তার বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। সে স্থানীয় মৃত বিজলি আকতারের মেয়ে। ছোটবেলায় প্রথমে তার বাবা ও পরে মায়ের মৃত্যু হলে সে নানার বাড়িতে থাকত।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরীটি অসহায় হওয়ায় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও শিশুর মামা মো. দিদার বলেন, বাবা-মা হারা কিশোরী পপি আক্তার বাড়ির উঠানে খেলছিল। এ সময় তার নানা সম্পর্কিত এয়ার মোহাম্মদ (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দুষ্টুমি করে ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলে হাসাহাসি করে। কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাইয়ের বউ ছায়েরা খাতুন (৫৫) এসে ওই কিশোরীর শরীরে গরম পানি ঢেলে দিলে তার শরীর ঝলসে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমি ঘটনা শোনার পর কিশোরীর অভিভাবককে থানায় আসতে বলছি, তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। শুনেছি কিশোরীটি অসহায়, তার বাবা-মা কেউ নেই। অভিভাবকরা এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
আরটিভি/এমকে-টি
গান গেয়ে উল্লাস করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
গান গেয়ে উল্লাস করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এক দল যুবক ‘মধু হই হই আঁরে বিষ খাওয়াইলা’ গানটি গেয়ে রীতিমতো উল্লাস করতে করতে খুঁটির সঙ্গে এক যুবককে বেঁধে পেটাচ্ছে। পরে ওই যুবকের মরদেহ রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসলেও গত ১৩ আগস্ট রাতে চট্টগ্রামে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন দুই নম্বর গেট আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর দিন ১৪ আগস্ট ঘটনাস্থলের কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রবর্তক মোড় থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধারের পর তা শনাক্ত করা হয়। নিহত যুবক নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির নুর মোহাম্মদের ছেলে শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি এলাকায় থাকতেন তিনি। চাকরি করতেন স্টেশন রোডে অবস্থিত ফলমন্ডির একটি দোকানে। হত্যার ভিডিওটি দেখে স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, এটি তার স্বামীকে মারারই দৃশ্য। এদিন রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শাহাদাতের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।
এ ঘটনায় তার চাচা মোহাম্মদ হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৩ আগস্ট দুপুর দুইটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যান শাহাদাত। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার স্ত্রীর শারমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় শাহাদাতের। তখন কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় ফিরে আসবেন বলে স্ত্রীকে জানান। কিন্তু মধ্যরাত পর্যন্ত বাসায় ফেরেননি। এতে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তখন তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে নিহতের চাচা হারুন জানতে পারেন প্রবর্তক মোড়ের অদূরে বদনা শাহ মিয়া (রহ.) মাজারের বিপরীতে সড়কের পাশে তার ভাতিজা শাহাদাত হোসেনের লাশ পড়ে আছে। ওই রাতেই পুলিশের সাহায্যে তিনি লাশটি উদ্ধার করেন। পরে লাশটি মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান রোববার রাতে বলেন, ‘খুঁটির সঙ্গে বেঁধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শাহাদাতের স্ত্রী সেটি দেখে নিশ্চিত করেন যে, মারধরের শিকার ব্যক্তিটিই তার স্বামী।’
তিনি বলেন, ‘যারা শাহাদাতকে হত্যার সাথে জড়িত তাদের খুব দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনা খুবই কষ্টকর। আমরা খুব দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করব, ইনশাআল্লাহ। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’
আরটিভি/এসএপি
তিস্তায় ভেসে আসা তরুণীর পরিচয় মিলেছে
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে পাওয়া মেহেদি রাঙানো দুই হাত বাঁধা নিহত তরুণীর পরিচয় মিলেছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তার পরিবার তরুণীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আদিতমারী থানা পুলিশ।
এর আগে রোববার তিস্তা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। সোমবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে ওই তরুণীর ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই তরুণীর নাম জোছনা আখতার (১৯)। তিনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ি গ্রামের জহর আলীর মেয়ে। নিখোঁজের ১৯ দিন আগে ডিমলার চাপানি গ্রামের জাহিদ হাসানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। জোছনা তার চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গত বুধবার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। গত শুক্রবার বিকেলের পর থেকে কোনও খোঁজ মিলছিল না।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, ওই তরুণীর জামাকাপড়, নাকফুল ও গলায় রুপার মালা দেখে তার আত্মীয়স্বজন উদ্ধার হওয়া মরদেহটি জোছনার বলে শনাক্ত করেছেন। তবে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছি আমরা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরটিভি/এএএ
আড়াই মাস পর আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, বেরিয়ে এলো যে তথ্য
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালেয়ের ছাত্র আবু সাঈদের শরীরে শটগানের গুলির চিহ্ন মিলেছে। এ ছাড়া তার মাথায়ও বড় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আবু সাঈদের মৃত্যুর আড়াই মাস পর পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে, গত ১৬ জুলাই রাত ১২টায় আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার মুত্যুকে হোমিসাইডাল বা হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু সাঈদের কানের ওপরের দিকে মাথার খুলিতে দৈর্ঘ্যে ৩ ইঞ্চি ও প্রস্থে দেড় ইঞ্চি আয়তনের গর্ত ছিল, যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। এ ছাড়া বুক, পেট ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট ছোট রাবার বুলেটের গর্ত ছিল। সেখান থেকেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথার আঘাত, শরীরের রক্তক্ষরণের কারণে আবু সাঈদ শকে চলে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের তাক করা অস্ত্রের বিপরীতে বুক পেতে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সাঈদ। এ সময় পুলিশ সদস্যরা হঠাৎ তার দিকে রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। তখন সাঈদের হাতে একটি লাঠি ছিল, যা দিয়ে তিনি গুলি ঠেকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের গুলির সামনে তার বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকার ওই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সে সময় দেশব্যাপী তুমুল আলোড়ন শুরু হয় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন আরও গতি পায়।