র্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু, আরও ৩ সদস্য প্রত্যাহার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র্যাব হেফাজতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্পের আরও তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরবে নবযোগদানকৃত ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এএসপি আব্দুল হাই।
প্রত্যাহারকৃত র্যাব সদস্যরা হলেন, ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ইকবাল হোসেন, কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম ও কনস্টেবল মনির হোসেন।
এএসপি আব্দুল হাই বলেন, ‘র্যাব হেফাজতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. ফাহিম ফয়সালসহ আরও তিনজন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মোট ৪ জন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) র্যাবের প্রধান কার্যালয় থেকে এ আদেশ আসে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে পুত্রবধূ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সুরাইয়া খাতুনকে আটক করে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরদিন শুক্রবার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। আটকের পর নির্যাতনের কারণেই সুরাইয়া খাতুনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছে পরিবার।
তবে র্যাবের দাবি, আটকের পর সুরাইয়া হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সুরাইয়া খাতুন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দা গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী।
মন্তব্য করুন