আমদানির পরেও ধরাছোঁয়ার বাইরে কাঁচামরিচ
আমদানির পরেও মেহেরপুরে ক্রেতাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে কাঁচা মরিচের দাম। গেল দুদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেড়ে এখন ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে আলুসহ সব প্রকার সবজির দর ঊর্ধ্বমুখী। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দর।
শনিবার (২৫ মে) মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত। একইসঙ্গে প্রতি কেজি আলুতে দাম বেড়েছে ৪ টাকা। এ ছাড়াও বেগুন, কলা, কচুর মুখি, পুঁইশাক, পটল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, করলা, লাউসহ সব ধরনের সবজিতে কেজি প্রতি ১ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের।
তবে দর বৃদ্ধিতে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বেশি দর তাই কেনাবেচাও কমে গেছে অনেকাংশে।
আমদানিকারকরা বলছেন, সম্প্রতি তীব্র দাবদাহ আর খরায় দেশের কাঁচা মরিচ আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় খোলা বাজারে এর সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে পণ্যটির দাম হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে।
দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হলেও তা বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা মেটাতে পারছে বলেও জানিয়েছে আমদানি সংশ্লিষ্টরা।
এ দিকে গাংনী কাঁচাবাজারের আড়তদার সাহাদুল ইসলাম বলেন, ‘এখনই রসুন ও কাঁচা মরিচের আমদানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। তা না হলে ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে সিন্ডিকেট করার বদনাম আসবে। দেশে যে পরিমাণ রসুন ও কাঁচামরিচ আছে তাতে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। এখন দাম স্থিতিশীল থাকলেও সামনে কোরবানির ঈদে ফের সবকিছু দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’
গাংনী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষকরা আগের মতো কাঁচা মরিচ সরবরাহ করতে পারছেন না। আমদানি হলেও চাহিদা তো কমছে না। তাই দামও বেড়ে গেছে।’
এ দিকে ভোক্তারা মনে করছেন, বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে সবজির দর ঊর্ধ্বমুখী।
এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান বলেন, ‘রেগুলার বাজার মনিটারিং হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর ছাড়াও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরেও আরও জোরালোভাবে বাজার মনিটরিং করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন