বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ সাত দাবিতে রংপুরে শ্রমিক জনসভা
বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধিসহ সাত দফা দাবিতে শ্রমিক জনসভা করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল।
রোববার (২৬ মে) বেলা ১১টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জনসভায় শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর আমলের মতো বর্তমানেও বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার, বিড়ির অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, বিড়িশিল্পকে কুটিরশিল্প ঘোষণা করা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির দালালি বন্ধ করা, অবৈধ বিড়ি তৈরির কারখানা বন্ধ করা এবং বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করার দাবি জানান।
বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন।
বিড়ি শ্রমিক জনসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান প্রমুখ।
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্র থেকে দেশীয় প্রাচীন শ্রমঘন বিড়িশিল্পকে বাঁচাতে হবে। সারা দেশে প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা ও কর্মসংস্থান রক্ষায় বিড়ির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে বিড়িশিল্পকে কুটিরশিল্প হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
জনসভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। দেশীয় শিল্পের প্রসার এবং শ্রমিক বান্ধব বিড়িশিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির, নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করা হলে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হবে। এ ছাড়া বিড়িতে অগ্রীম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। সুতরাং বিড়িশিল্পের ওপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে।
বক্তারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতো সরকার কর্তৃক শ্রমিকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দাবি করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন