২৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হাওরের ৩ উপজেলা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কিশোরগঞ্জের হাওর বেষ্টিত তিন উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের ২৩টি ইউনিয়নে ২৭ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সোমবার দুপুর ১১টা থেকে রেমালের কারণে মঙ্গলবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।
কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সোমবার বেলা ১১টা থেকে ঝড়ের কারণে কিশোরগঞ্জ গ্রীড উপকেন্দ্র থেকে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে হাওরাঞ্চলের তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ ২৭ ঘণ্টা ধরে অন্ধকারে রয়েছে।
এ সময় কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের ২৪টি ইউনিয়নের ২৩টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে মিঠামইন জোনাল অফিস। তিন উপজেলায় প্রায় ৭৪ হাজার গ্রাহকের, অষ্টগ্রামে প্রায় ২৯ হাজার, মিঠামইনে ২৫ হাজার ও ইটনা আংশিকে ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে হাওরাঞ্চলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কল-কারখানা, হাসপাতাল ও অটোরিকশা চার্জসহ বিদ্যুৎ চালিত কাজ করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। এতে অধিকাংশ মুঠোফোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক বন্ধ বা তরঙ্গ কম থাকার কারণে মানুষের ফোন ও ভার্চুয়াল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
দুদিন ধরে যানবাহনে চার্জ দিতে না পারায়, চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ অটোরিকশা চালকরা। দিনে যাত্রী পরিবহন করতে পারেনি তারা। জনদুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
রেমালের প্রভাবে কমে আসায় দুপুর থেকে পবিস প্রকৌশলী ও কর্মীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বলে জানায় মিঠামইন জোনাল অফিস।
মিঠামইন সদর ইউনিয়নের নাসরিন আক্তার বলেন, ডিজিটাল সময়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক না থাকা মানে তো অন্ধকারে থাকা। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আরও বেশি সচেতনতা ও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
এই বিষয়ে অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, হাওরে বিদ্যুৎ না থাকলে মোবাইল কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্কও থাকে না। এতে শহর-গ্রামে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারী ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী কামাল উদদীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে গাছ-গাছালি পড়া ও বৈদ্যুতিক পুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। আকাশের অবস্থা একটু ভালো হওয়ায় আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে।
মন্তব্য করুন