হাওরে পানি বাড়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বাড়তে থাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে হাওরাঞ্চলের কয়েকটি সড়ক ও ফেরিঘাট। ফলে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সাময়িকভাবে দুইটি সড়কে বন্ধ করে দিয়েছে ৫টি ফেরি। এতে বেড়েছে মানুষের যাতায়ত ভোগান্তি।
কিশোরগঞ্জের তিন হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ বছরে ৬ মাস সড়কপথে জেলা শহরে যাতায়ত করে। হঠাৎ নদীতে পানি বাড়ার কারণে তলিয়ে গেছে ফেরিঘাটগুলো, ফলে, মঙ্গলবার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়, কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
তবে সংস্কারের মাধ্যমে মঙ্গলবার বিকেলে অষ্টগ্রাম-বাজিতপুর সড়কের ঘোড়াউত্রা নদীর ফেরিটি চালু করে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর।
এদিকে সড়কে পানি উঠা ও ফেরি বন্ধ হওয়ায় বিপত্তিতে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। বালিখলা হতে মিঠামইন পর্যন্ত ও চামড়াঘাট হতে ইটনা পর্যন্ত দুই-তিন দফা নৌকা ও অটোরিকশা বদলিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেন যাত্রীরা। এ সময় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে নারী ও শিশু যাত্রীরা।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করিমগঞ্জ-মিঠামইন সড়কের বালিখলা ও মিঠামইন কামালপুর ফেরিঘাট, করিমগঞ্জ-ইটনা সড়কের চামড়া ঘাট, ইটনার বড়িবাড়ি ও বলদা ফেরিঘাট সংশ্লিষ্ট ডুবো সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠা ও ফেরিঘাট ডুবে যাওয়ায় বন্ধ করতে হয়েছে ফেরি চলাচল। এতে, শহরাঞ্চলের সঙ্গে হাওরাঞ্চলের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইটনা সদর ইউনিয়নের সংস্কৃতিকর্মী আজাদ হোসেন বলেন, হঠাৎ পানি বাড়ার কারণে জেলা শহরের সাথে আমাদের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়েগেছে। হাওরাঞ্চলবাসী এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে নৌকা ও অটোরিকশা করে কিশোরগঞ্জের যেতে হয়েছে।
মিঠামইন উপজেলার আতিকুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে নদীতে পানি বেড়েছে, তাই ফেরিঘাটগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছে। সকালে জরুরি দরকারে শহর অভিমুখী মানুষরা আজকে বেশ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছে। এখন যদি দ্রুত পানি বাড়লে, তাহলে নৌকা চলাচল শুরু হবে।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, হাওরের নদীগুলোতে হঠাৎ পানি বাড়ার কারণে পাটুলি ফেরিঘাট ছাড়া, হাওরাঞ্চলের সকল ফেরি বন্ধ রয়েছে। পানি না কমলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে না। তবে পাটুলী ফেরিঘাট সংস্কারের মাধ্যমে বিকেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন