• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

কেমন আছে মায়ের লাশের পাশে পড়ে থাকা সেই শিশু

মোজাম্মেল খোকন, ময়মনসিংহ

  ৩০ মে ২০২৪, ০১:১০
ছবি: সংগৃহীত

নারীর মৃতদেহের পাশে অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিল দেড় বছর বয়সি অজ্ঞাত এক শিশু। এ ঘটনায় স্থানীয়ারা শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। তবে এখনো শিশুটির জ্ঞান ফিরেনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বুধবার (২৭ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই শিশুটিকে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে।

এর আগে, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকোনী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধলা যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি কাঁচা সড়কের পাশ থেকে ৩০ বছর বয়সি এক অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। এ সময় ওই নারীর মৃতদেহের পাশে অজ্ঞাত অবস্থায় এই শিশুটিকেও পায় স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশের পরামর্শে স্থানীয়রা এক ইউপি সদস্য শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম জানান, ওই শিশুর বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তার মাথার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। রিপোর্টে শিশুর মস্তিস্কে রক্ষক্ষরণের ঘটনা ঘটেনি। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এই মূহুর্তে শিশুটির কোন অস্ত্রপ্রচারের প্রয়োজন নেই।

এ সময় শিশুর জ্ঞান কেন ফিরছে জানতে চাইলে ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শামীউল আলম সিদ্দিকী শামীমের তত্বাবধানে শিশুর চিকিৎসা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোরে স্থানীয় এক ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে মাদরাসার পাশে তার মায়ের কবর জিয়ারত করতে যান। এসময় এক শিশু ও অজ্ঞাত নারীকে কাঁচারাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটিকে জীবিত পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান অবস্থায় জীবিত এক শিশু ও অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করছে। ইতোমধ্যে নারীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে।

জানা যায়, বতর্মানে মমেক হাসপাতালে শিশুটির দেখাশোনা করছেন ঘটনাস্থল কাছিয়াকান্দা গ্রামের ইউপি সদস্য রোস্তম আলী ও সুজাত মিয়া। তারাই শিশুটি হাসপাতালে নিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।

সুজাত মিয়া বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে নারীর মরদেহ ও শিশু পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখে মৃত নারীর মাথার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তখন শিশুটি রক্ত মাখা শরীরে অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিল।

হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শামীউল আলম সিদ্দিকী শামীম বলেন, আঘাতে অনেক সময় মস্তিস্ক নড়ে যায়। যে কারণে অনেক সময় জ্ঞান ফিরতে সময় লেগে যায়। ফলে এই শিশুর জ্ঞান ফিরতে কত সময় লাগবে, তা নিশ্চিত করে এখন বলা যাচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ৭০৫
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৮২
আলাদা জীবন পেল জোড়া লাগানো দুই বোন নুহা ও নাবা
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৭৫