১৩ ঘণ্টা পর ৩ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক
কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় টানা ১৩ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ইন্সিলেটর বিস্ফোরণের কারণে সংযোগ বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে।
রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের ২৩টি ইউনিয়নে ১৩ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)।
কিশোরগঞ্জ পবিস সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে কিশোরগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে তিন হাওর উপজেলার ৩৩ কেভি সাব-স্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের বালিখলা এলাকায় ইন্সিলেটর বিস্ফোরণ হয়। এতে অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার ৭৪ হাজার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
এসময় তিন উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি অফিস, অটোরিকশা চার্জসহ বিদ্যুৎ চালিত কাজ করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন অটোরিকশা চালকরা। রাতে লোডশেডিং ও দিনে বিদ্যুৎ না থাকায় যানবাহনে চার্জ দিতে পারেনি, ফলে যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে সড়কে গণপরিবহন কম থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
কিশোরগঞ্জ পবিস আরও জানায়, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) প্রকৌশলী ও কর্মীরা রোববার সকাল থেকে বৈদ্যুতিক সমস্যা শনাক্তে হাওরে নৌকা দিয়ে কাজ শুরু করে। বিকেল সাড়ে ৬টায় করিমগঞ্জের বালিখলা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ইন্সিলেটর বিস্ফোরণ শনাক্ত করা হয়।
পরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী ও কর্মীদের প্রচেষ্টায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন মেরামত শেষে তিন উপজেলায় পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা, আদমপুর ও পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় রাত সাড়ে ৮টায়।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) মিঠামইন জোনাল অফিসের অধীনে প্রায় ৭৪ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। অষ্টগ্রামে প্রায় ২৯ হাজার, মিঠামইনে ২৫ হাজার ও ইটনা আংশিকে ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হালিম বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পর থেকে আমরা সমস্যা শনাক্তে কাজ শুরু করি। বিকেলে করিমগঞ্জের বালিখলায় ইন্সিলেটর বিস্ফোরণ শনাক্ত করি। মেরামত শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়।
মন্তব্য করুন