শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরের ৬ উপজেলার ৩০ গ্রামের সুরেশ্বর পিরের অনুসারীরা ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন।
রোববার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারীরা বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর পিরের বর্তমান গদীনিশীন মুতাওয়াল্লি সৈয়দ কামাল নুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অন্তত শত বছর আগে থেকে জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরী নামে এক সুফি সাধকের ভক্ত ও অনুরাগীরা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। জেলায় সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধ, দক্ষিণ দারাগড়সহ অন্তত ৩০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর অনুসারী। সকালে সুরেশ্বর দরবার শরীফের মাঠে হাজারও মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এ সময় ঈদের নামাজের জামাতের ইমামতি করেন দরবার শরীফের গদীনশীন পীর সৈয়দ কামাল নূরীর ভাই সৈয়দ বেলাল নূরী এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন পীর সৈয়দ কামাল নূরী।
নামাজ শেষে শাহ সুরেশ্বরীর অনুসারীরা খিচুড়ি ও সেমাইসহ মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ঈদুল আজহার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন।
সুরেশ্বর পিরের বর্তমান গদীনিশীন মুতাওয়াল্লি সৈয়দ কামাল নুরী বলেন, সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৬৯ দেশে শনিবার চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ ওইসব দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন মুসলমানরা। তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরের শাহ সুরেশ্বরীর অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করছেন। ১৯২৮ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছি। এর ধারাবাহিকতায় শরীয়তপুর জেলার ৩০টি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মুরিদ আমাদের সঙ্গে ঈদ করছেন।
মন্তব্য করুন