আখাউড়ায় ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট গরিবের মাংসের হাট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট গরিবের এক দিনের মাংসের হাট। কোরবানি উপলক্ষে জবাইকৃত পশুর মাংস বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করে গরিব অসহায় আর দুস্থ মানুষরা আখাউড়া পৌরশহরে এনে বিক্রি করছে। যারা বিক্রি করছে তারা সকলেই গরিব ও অসহায় ভবঘুরে হকার দিনমজুর। এদের অনেকেই আখাউড়ায় ভাসমান। তবে ক্রেতারা হচ্ছে উচ্চ আয়ের, হোটেল মালিক এবং যারা কোরবানি দিতে পারেনি এমন মানুষ।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর ২টার পর থেকে মাংস আসা শুরু হয়। মাংসের পুটলা আসা মাত্রই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানান, শুধু মাংস দিয়ে তো আর পরিবারের খাওয়া দাওয়া চলবে না। কিছু মাংস বিক্রি করে বাকি মাংস বিক্রি করে মসলা চাল ডাল অন্যান্য সামগ্রী কিনতে হবে, যার কারণে বিক্রি করে দিচ্ছি। সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাও নেই। ক্রেতারা জানান, যারা বিক্রি করছে তারা দাম বাজার থেকেও বেশি চায়।
আখাউড়ায় প্রতি বছরের মতো এবারও পৌরশহরের সড়ক বাজার, রেলওয়ে স্টেশন, বাইপাস সড়কের বঙ্গবন্ধু মোড় এবং খড়মপুর কেল্লা বাবার মাজারে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের হাট বসেছে। তবে দাম চড়া। যারা কোরবানি দিতে পারেননি তারা ভিড় করছেন এসব ভাসমান কোরবানির মাংসের বাজারে।
সোমবার সরেজমিনে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাসমান বাজার ঘুরে দেখা যায় কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। প্রতি বছরই কোরবানি শেষে বিকেল হলেই ওই স্থানগুলোতে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের বাজার বসে।
মন্তব্য করুন