মায়ের পাশ থেকে নবজাতক উধাও, ঝোপে মিলল মরদেহ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাতদিন বয়সী নবজাতক সন্তানকে পাশে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা তৃষা বেগম। ভোর তিনটায় ঘুম ভাঙলে বিছানায় সন্তানকে না দেখতে পেয়ে যান স্বামীর ঘরে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে খোঁজাখুঁজির পর শিশুটির মরদেহের সন্ধান মেলে বাড়ির পাশে ঝোঁপের মধ্যে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, শিশুটির বাবা উসমান গণি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার বাড়ি ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ায়। তিনি দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী একজন চিকিৎসক, তিনি ঢাকায় থাকেন। সাড়ে তিন বছর আগে উসমান গণি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তৃষা বেগম। তৃষার বাবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী গ্রামে। সাত দিন আগে তৃষা একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। গণি-তৃষা দম্পতির আরও একটি সন্তান রয়েছে। সন্তানদের নিয়ে তৃষা থাকেন ভৈরব পৌর শহরের নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে। তার সঙ্গে সব সময় থাকেন দুজন গৃহকর্মী ও তৃষার এক বান্ধবী। উসমান গণি সপ্তাহে এক দিন শুক্রবার ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেন। তিনি এবার ঈদ করেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে।
মৃত নবজাতকের মা তৃষা পুলিশকে জানান, ঈদের দিন রাত ৩টার দিকে তার ঘুম ভাঙে। এ সময় তিনি দেখেন শিশুটি বিছানায় নেই। অন্য কক্ষে তার স্বামী ঘুমাচ্ছিলেন। সেখানেও নেই শিশুটি। পরে তিনি চিৎকার দিতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে সবাই ছুটে আসেন। আশপাশে খোঁজ করেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।
স্বজন ও এলাকাবাসী ভৈরব থানার পুলিশকে বিষয়টি জানালে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসার পাশের একটি ঝোঁপ থেকে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় শিশুটির মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবজাতকের বাবা ওসমান গণি, মা তৃষা, তৃষার বান্ধবী সুমাইয়া, কাজের মেয়ে শিলা ও মিমকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন