বউয়ের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উম্মে সরাবন তহুরা এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ৮ মে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন মাকসুদ হোসেন। ১১ জুন দায়িত্বগ্রহণের
৯ দিনের মাথায় কারাগারে গেলেন তিনি।
কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পিপি রকিব উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে, ২৩ এপ্রিল মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪৩) যৌতুকের
অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সালে মাকসুদ হোসেন তাকে বিয়ে করেন।
তাদের একটি কন্যাসন্তান আছে।
সুলতানা বেগমের দাবি, বিয়ের সময়ে প্রথম স্ত্রীর কথা তিনি গোপন রাখেন। বিষয়টি জানতে পেরে সুলতানা বেগম তাকে বাড়িতে তোলার জন্য চাপ দেন। তবে তার কোন কথায় কর্ণপাত করেননি মাকসুদ।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মাকসুদ হোসেন তার পৈত্রিক প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বিক্রি করার
জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে বারবার চাপ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর একটি
যৌতুকের মামলা করেন তিনি। চলতি বছর ২১ এপ্রিল রাতে মাকসুদ কয়েকজনকে নিয়ে সুলতানার বাড়িতে গিয়ে মামলা তুলতে চাপ দেন। সেই সঙ্গে সম্পত্তি বিক্রি করলে বাড়িতে তুলবেন বলে প্রলোভন দেখান। এ কথায় রাজি না হওয়ায় মেয়ে শ্রাবন্তিসহ সুলতানা বেগমকে হত্যার হুমকি দেন মাকসুদ। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন সুলতানা বেগম। আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন