বকশীগঞ্জে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দেখা দিয়েছে নদীভাঙন
জামালপুরের বকশীগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে বকশীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুদিন থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া, মেরুরচর ও বগারচর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, দশানী নদী ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর গাজীরপাড়া, কতুবের চর, শেকপাড়া, মদনের চর, চর কামালের বার্ত্তী, চর আইরমারী, আইরমারী, তালতলা গ্রাম, মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর, চিনারচর, পূর্ব কলকিহারা, উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, মাইছানিরচর ও মাদারেরচর এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আইরমারী খান পাড়া, কতুবের চর, বাংগালপাড়া, পূর্ব কলকিহারা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের ফলে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কুতুবের চর জামে মসজিদ, বসতভিটা, ফসলি জমি, গ্রামীণ রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও কুতুবের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে এই বিদ্যালয়টি।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান বলেন, ‘কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কুতুবের চর গ্রামে নদী ভাঙনের শিকার পরিবারের তালিকা চাওয়া হয়েছে। নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করা হবে।’
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত বলেন, ‘কুতুবের চর গ্রামে নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৫০০ জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আজ-কালের মধ্যেই ভাঙন কবলিত জায়গায় জিও ব্যাগগুলো ফেলা হবে।’
মন্তব্য করুন