• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

টাঙ্গাইলে দেখা মিলেছে রাসেলস ভাইপার, দাবি আইনজীবীর

টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২২ জুন ২০২৪, ২০:২৫
টাঙ্গাইলে পিটিয়ে মারা হলো রাসেলস ভাইপার, সর্বত্রই আতঙ্ক 
ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে শহরের সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়ায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে। পরে সেটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন স্থানীয়রা।

শনিবার (২২ জুন) সকালে টাঙ্গাইল জজ কোর্টের সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদের বাসার গেটে পাওয়া যায় এ সাপটি।

এ দিকে পুরো জেলাজুড়ে চলছে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক। অনেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাপটি দেখা গিয়েছে বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। আবার অনেকেই সেই পোস্টটিকে গুজব বলে পালটা পোস্ট দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বলেন, ‘শহরে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি বাসার নিচে চেম্বারে বসে কাজ করছিলাম। বৃষ্টির মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় আমার বাসার এক ভাড়াটিয়া বাইরে যাওয়ার সময় দেখেন একটি রাসেলস ভাইপার সাপ গেট পেরিয়ে বাসার ভেতরে প্রবেশ করছে। তখন তিনি ডাকাডাকি করলে আমার চেম্বারের লোকজন গিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলেন। এরপর থেকে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।’

অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ আরও বলেন, ‘এই সাপ যেহেতু একসঙ্গে ৫০ থেকে ৮০টি বাচ্চা দেয়। সেহেতু বাসার আশেপাশে আরও সাপ থাকতে পারে। আমাদের এ মহল্লায় সাপ নিধনে দ্রুত অভিযান চালানো জরুরি।’

টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুল বলেন, ‘আমরা মূলত বণ্য প্রাণী নিয়ে কাজ করি। বর্তমানে সারাদেশে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানলাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।’

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সাপে কাটা রোগীদের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় ১০টি করে অ্যান্টিভেনম ডোজ এবং জেলায় ১০০টি ডোজ সংরক্ষিত আছে। প্রয়োজনে এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’

সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘শুনেছি জেলার সখিপুরে একজনকে সাপে কামড় দিয়েছে। পরে দেরিতে হাসপাতালে আনা হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে তাকে রেফার্ড করলে সেখানে তিনি মারা যান। এ ছাড়া টাঙ্গাইলে আর কাউকে সাপে কাটার খবর পাইনি।’

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার শহিদুল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘কয়েক বছর আগে আমার বাবা আবু সাইদকে (৬০) সাপে কাটার পর তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অবহেলা করে অ্যান্টিভেনম ডোজ দেননি। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়। আমি চাই আর কেউ যেনো সাপের কামড়ে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মারা না যান। এ জন্য কর্তৃপক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে হত্যাকারীর মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে টাঙ্গাইল সদর ইউএনও প্রত্যাহার
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
টাঙ্গাইলে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা