বদলির পর আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে
বদলির পর থানার আসবাবপত্র ও টিভি খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার বিদায়ী ওসি মিন্টু রহমানের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।
জানা যায়, সম্প্রতি বদলিজনিত কারণে থানা ছেড়ে যাওয়ার সময় নিজ কক্ষে ব্যবহৃত ১০টি চেয়ার, একটি ফাইল ক্যাবিনেট ও ৫৬ ইঞ্চির একটি এলইডি টিভি নিয়ে যান ওসি মিন্টু রহমান। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানা থেকে বদলি হয়ে সদর মডেল থানায় যোগদান করেন তিনি। এখানে এসে তিনি চাকচিক্য, সাজানো-গুছানো মনোরম পরিবেশের একটি কক্ষ পেয়েছিলেন। কারণ এর আগের ও বর্তমানে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন ওই কক্ষের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ করিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি পুলিশের এক সংক্ষিপ্ত আদেশে সিলেট রেঞ্জে বদলি করা হয় মিন্টু রহমানকে।
চলে যাওয়ার সময় থানার ওসির কক্ষের আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদর থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, থানায় আগতদের বসার জন্য এক ব্যবসায়ী ১০টি চেয়ার দিয়েছিলেন। একইভাবে এলইডি টিভিটিও দিয়েছেন আরেক ব্যবসায়ী। কিন্তু সিলেটে যাওয়ার আগে ওসি মিন্টু রহমান এসব জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে গেছেন। ওসির ঘরে লাগানো একটি এসি খুলেও সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই এসির গায়ে দাতা প্রতিষ্ঠান রনি কম্পিউটার্সের নাম লেখা থাকার কারণে সেটা নেননি ওসি মিন্টু।
এ দিকে আরটিভির সঙ্গে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ওসি মিন্টু রহমান।
অভিযোগের বিষয়ে বিদায়ী ওসি মিন্টু রহমান বলেন, ‘রাজশাহী থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা থানা পরিদর্শনে আসা উপলক্ষে শহরের ব্রাদাস ফার্নিচার থেকে কয়েকটি ভালো চেয়ার আনা হয়েছিলো। সেগুলো অফিসেই ছিলো। ধার হিসেবে আনা চেয়ারগুলো, আমি আসার আগে সেই দোকানে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে টিভির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সেটিও রনি ইলেকট্রনিক্সকে ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি কোনো কিছু নিজের সঙ্গে আমার নতুন কর্মস্থলে নিয়ে আসিনি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার ইমেজকে ক্ষুণ্ন করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার নতুন ওসি মেহেদি হাসান বলেন, ‘থানায় যোগদানের পর সরকারি চেয়ার-টেবিল পেয়েছি। আগে কী হয়েছে আমার জানা নেই।’
ঘটনার বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, ‘থানায় সরকারিভাবে টিভি, এসি দেওয়া হয় না। এগুলো ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করেন ওসিরা। থানায় নতুন ওসি যায় আসে। এ সময় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সরকারি যে মালামাল থাকে তা বিদায়ী ওসির কাছ থেকে নতুন ওসি বুঝে নেন। এবারও তাই হয়েছে। নতুন যিনি এসেছেন তিনি সরকারি যে মালামাল ছিলো তা সবকিছু বুঝে নিয়েই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।’
মন্তব্য করুন