• ঢাকা শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
logo

যেভাবে ধরা পড়লেন জেল পালানো ৪ ফাঁসির আসামি

আরটিভি নিউজ

  ২৬ জুন ২০২৪, ১৯:১৭
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে ১৫ মিনিটের মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ জুন) শহরের চেলোপাড়া চাষিবাজারের মাছের আড়ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই আসামিরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার আজিজুল হকের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), বগুড়া জেলার সদর থানার মো. ইসমাইল শেখের ছেলে মো. ফরিদ শেখ (২৮), গুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩১) ও নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার ইসরাফিল খার ছেলে আমির হামজা (৩৮)।

জেল পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে যে কয়টি দল কাজ শুরু করে তাদের একটির নেতৃত্বে ছিলেন বগুড়া সদর ফাঁড়ির এসআই খোরশেদ আলম। তাদেরকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

এসআই খোরশেদ আলম বলেন, চার আসামি পালানোর পরই পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ডিউটিরত সব টিমকে গ্রেপ্তার অভিযানে নামতে বলেন। তাদের সঙ্গে অতিরিক্ত টিম নামানোরও নির্দেশ দেন তিনি। নির্দেশনা পেয়ে ফোর্স নিয়ে আসামিদের খুঁজতে থাকি। সাধারণভাবে চিন্তা করে দেখলাম, পালিয়ে যাওয়া আসামিরা কখনও সদর সড়ক ব্যবহার করবে না। জেলখানা যেহেতু করতোয়া নদীর ধারে এবং এখন করতোয়া নদীও খনন হয়েছে। তাই নদীর দুই পাড় দিয়ে যাতায়াতের একটা সুযোগ হয়েছে। আসামিরা নদীর নিচু পাড় ব্যাবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, আমি নির্দেশ পাওয়ার পর জেল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে ফতেহ আলী বাজারের পাশে করতোয়া নদীর ধারে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি চারজন একসঙ্গে নদীর পাশ থেকে চেলোপাড়া চাষিবাজারে হেঁটে উঠছেন। তখনই আমার সন্দেহ হয়। কারণ, আমাদের জানানো হয়েছে চারজন পালিয়েছে। এরাও তো চারজন। তখন আমি ও টিমের অন্যরা দ্রুত সেখানে গিয়ে তাদের ঘিরে ফেলি। তাদেরকে নানা প্রশ্ন করি, কিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, তখন তাদের দেহ তল্লাশি করে জেলখানার একটি কাগজ পাই। এতে আমরা নিশ্চিত হই এরাই সেই আসামি, যারা জেল থেকে পালিয়েছে। তখন বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই এবং তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে আসি।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিএম ইমরুল কায়েসকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এই কমিটিতে জেলা পুলিশ সুপারের একজন, র‌্যাব, ডিআইজি প্রিজন, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ও গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধি থাকবেন।

জেলা প্রশাসক জানান, তদন্তের জন্য কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ডিআইজি প্রিজনকে দেওয়া হবে। তার ওপর ভিত্তি করে কারাগার কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেবেন।

মন্তব্য করুন

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কলেজের অফিস কক্ষে অধ্যক্ষের মরদেহ, হত্যা নাকি আত্মহত্যা
আবাসিক হোটেল থেকে ৭ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার
কারাগারে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছেন হত্যা মামলার আসামি
পাবনায় পুলিশকে পিটুনি, কাউন্সিলরসহ আটক ৩