নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জে সুরুজ মিয়া ওরফে সুরুজ মেম্বার (৭০) নামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় আহত হয়েছেন তার দুই ছেলেসহ ৪ জন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ফতুল্লা উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া এলাকায় মসজিদের সামনে দুইপক্ষের সংঘর্ষে তাদের উপর হামলা হয়। আহতাবস্থায় তাদের পাঁচজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সুরুজকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সুরুজ মেম্বার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। আহতরা হলেন সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০)। অন্য দুজন অটোরিকশা চালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।
সুরুজ মিয়ার ভাগ্নে নূর হোসেন লিখন ও আহত জনির ভাতিজা রিয়াজ উদ্দিন জানান, ইট-বালুর ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু, হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এ ছাড়া সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে সকালে চাঁদা দাবি করেন। ভুক্তভোগী সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে সুরুজ মিয়া সালু ও হিরাকে শাসন করেন।
এর জের ধরে এলাকার মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু, হিরাসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আহত করে ।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুই পক্ষের মধ্যে এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, ইট-বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
মন্তব্য করুন