জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা
গোপন বৈঠকের সময় আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
গোপন বৈঠক থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে কক্সবাজারের চৌফলদন্ডি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী পুস্তিকা, লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়ালও উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব ফোর্সেস আইন ও গণমাধ্যম শাখা পরিচালক আরাফাত ইসলাম।
তিনি বলেন, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদার মতাদর্শের এ জঙ্গি সংগঠনটিতে তারা যোগদান করেছেন। র্যাবসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়েছে। ফলে সংগঠনের নতুন সদস্য সংগ্রহসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে জঙ্গিরা ব্যর্থ হচ্ছে বিধায় তাদের কার্যক্রমকে সচল রাখতে আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘আস-শাহাদাত’ নামে নতুন একটি জঙ্গি গ্রুপ তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গ্রুপটি পাশের একটি দেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং এ সংগঠনের সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ৮৫-১০০ জন। এ গ্রুপটির উদ্ভাবক হলেন পাশের দেশের নাগরিক হাবিবুল্লাহ এবং কথিত আমির সালাহউদ্দিন। তারা বিভিন্ন জেলায় জঙ্গি হামলা ও নাশকতার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কক্সবাজারে বৈঠক করতে আসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জামালপুরের ইসলামপুরের আবদুল ওহাবের ছেলে মো. জাকারিয়া মণ্ডল (১৯), ভোলার বোরহান উদ্দিনের নুরুল আমিনের ছেলে মো. নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনীর সোনাগাজীর ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. ওজায়ের (১৯)।
জানা যায়, এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী ১০টি বই, ২৯টি লিফলেট, একটি ডায়েরি, দুটি মাদরাসার পরিচয়পত্র, দুটি এনআইডি, একটি অ্যান্ড্রয়েড ও একটি বাটন মোবাইল এবং ৪ হাজার ৫৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘কৌশলগত কারণে কোন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি উল্লেখ করা হয়নি। কার সঙ্গে তারা মিলিত হয়েছিল তাকে নিয়েও কাজ চলছে।’
মন্তব্য করুন