• ঢাকা শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
logo

সুনামগঞ্জের যাদুকাটা ও রক্তি নদীতে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৮ জুন ২০২৪, ২১:৫০
সুনামগঞ্জের যাদুকাটা ও রক্তি নদীতে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন
ছবি : আরটিভি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর গাঘড়া পাঠানপাড়া নদী তীর ও ফাজিলপুর বালি মহাল সংলগ্ন এবং জামালগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর এলাকায় রক্তি নদীতে বিআইডব্লিউটি’র নামে চলতি নৌকা থেকে টোল আদায়ের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে যাদুকাটা নদীতীরের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারচর পাঁচগাও উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছেন বালি-পাথর শ্রমিক, নৌকা মালিক ও ব্যবসায়ী।

মিয়ারচর বালি-পাথর সমিতির সভাপতি আব্দুল গণির সভাপতিত্বে ও ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বালি-পাথর ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়া, লুৎফুর রহমান নাঈম, কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, জামালগঞ্জ নৌকা মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এম আল-আমিন, সদস্য নুর মোহাম্মদ, বাল্কহেড নৌকার মাঝি সাঈদ হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জের সর্ববৃহৎ বালি মহাল ফাজিলপুর বালি মহালে দেশের যেকোনো এলাকা থেকে স্টিল বডির বাল্কহেড নৌকা নিয়ে আসা-যাওয়ার সময় ৪ ঘণ্টার নৌপথ পাড়ি দিতে তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ দুই উপজেলার ৪টি স্থানে টোল আদায়ের নামে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। যা বাংলাদেশের কোন নদীতে এমন নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এখানে বালু নিতে কোন নৌকা আর আসবে না। চাঁদাবাজদের যন্ত্রণায় ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগেও তাহিরপুর উপজেলার গাঘড়াঘাট এবং ফাজিলপুর ঘাটে নৌকা প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা টোল দিয়েছি। কিন্তু এ বছর টোল আদায়কারীরা স্থানীয় এমপির প্রভাব খাটিয়ে প্রতি ফুট বালু থেকে এক টাকা হারে টোল আদায়ের নামে প্রতিটি বাল্কহেড নৌকা থেকে জোরপূর্বক ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে পাঠানপাড়া ঘাটে নৌকার সিঁড়ি নিয়ে যাওয়াসহ মারধর করে নৌকায় থাকা লোকজনের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়।


নৌপথে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নদী পথে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি জানা নেই। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রণজিত চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কারা নদী ইজারা নিয়েছে তা জানি না। কারা টোল বা চাঁদা তোলে তাও জানি না। বিষয়টি আমার নলেজে নাই। নদীতে চাঁদাবাজি হয়ে থাকলে প্রশাসনকে নির্দেশ দেব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’

মন্তব্য করুন

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সুরমায় নিখোঁজের ৬০ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার 
প্রশ্নফাঁস-চাঁদাবাজি, জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত
বন্যা থেকে পুনরুদ্ধারে সিলেট-সুনামগঞ্জকে আর্থিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের
সুরমা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩