বাগেরহাটে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
বাগেরহাটে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার চিতলী এলাকায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, চিতলী মৃত আবদুল আজিজ শেখের ছেলে আবু দাঊদ শেখ (৪৯) ও তার স্ত্রী তোহেলি সুলতানা লাকি (৪৫)। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। নিহত আবু দাঊদ শেখ স্থানীয় বাজারে ইট-বালির ব্যবসা করতেন।
নিহতদের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস লামিয়া (১৭) জানান, তার বাবা-মায়ের মধ্যে কোনো কলহ ছিলনা। গত রাত ৩টা পর্যন্ত সে তার বাবা-মা ও ভাই একই রুমে গল্প করেছেন। এরপর তার বাবা-মা তাদের রুমে ঘুমাতে চলে যান। সকালে তার ভাইয়ের পরীক্ষা থাকায় ঘুম থেকে উঠে বাবা-মার রুমের সামনে যায় সে।
নিহতদের ছেলে আল কাইয়ুম সিয়াম (১৩) বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি বাবা-মায়ের রুমের সামনে গিয়ে তাদের ডাকি। কিছু সময় পর বাসার ছাদে কাজ করা মিস্ত্রিরা এসে কলিং বেল চাপতে থাকে। আমি মনে করেছিলাম, বাবা-মা উঠে মিস্ত্রিদের দরজা খুলে দেবেন। কিন্তু দরজা না খুলে দেওয়ায় আমি বাবা-মার দরজায় এসে ধাক্কা দেই। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা না খুললে পাশের জানালার ফাঁক দিয়ে আমি বাবাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে দরজা ভেঙে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে মা এবং বাবাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে এলাকাবাসী এসে মা-বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহতদের সন্তানদের দাবি, তাদের বাবা-মায়ের নিজেদের মধ্যে কোনো পারিবারিক কলহ ছিল না।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম হোসেন বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তবে কি কারণে তারা আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহত দাঊদ শেখের ছেলে মো. সিয়াম (১০) সিলিং ফ্যানের সঙ্গে পৃথক ওড়নায় উভয়কে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে ময়নাতদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
মন্তব্য করুন