এইচএসসির প্রশ্নপত্র দেখে তৈরি হচ্ছিল উত্তর, আটক ২ শিক্ষক
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে উত্তর সংগ্রহ এবং সরবরাহ করার সময় দুজন মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম। এ সময় ৯টি মোটরসাইকেল ও ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে থানা পুলিশ।
রোববার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের কশিগাড়ী জামে মসজিদ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় সেখানে থাকা আরও বেশ কয়েকজন কৌশলে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, রোববার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আটক শিক্ষকদের কাছে এসেছিল। সেই প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করে তারা আবারও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু এর আগেই ধরা পড়েন। ওই দুই শিক্ষককে যে মসজিদ থেকে আটক করা হয়েছে, তার পাশেই রামেশ্বরপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলছিল। আটক শিক্ষকরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করতেন।
আটক দুই শিক্ষক হলেন, কৃষ্ণরামপুর ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যক্ষ সুলতান হোসেন (৫২) এবং দেওগাঁ ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম (৪০)।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘রামেশ্বরপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের সচিব বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা করবেন। আটক দুই শিক্ষককে আমরা থানা হেফাজতে রেখেছি। মামলা দায়ের হলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার (৮ জুলাই) তাদেরকে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হবে।’
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আটক দুই শিক্ষকসহ পলাতক কয়েকজন পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর মুঠোফোনে কোনোভাবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি পেয়েছিলেন। সেই ছবি দেখে তারা উত্তরপত্র তৈরি করছিলেন। এমন সময় গোপন সংবাদের বিভিন্ন খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
মন্তব্য করুন