মাটি খুঁড়তেই মিলল ১৬ গ্রেনেড, অতঃপর...
গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকায় বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া ১৬টি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা এসে গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহমুদুজ্জামান।
তিনি বলেন, গাজীপুরে ছায়াবীথি এলাকায় মাটি খননের সময় বিস্ফোরক জাতীয় কিছু একটা পাওয়া গেছে এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পুরো টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসে আমরা দেখতে পাই একটি ভাঙা মটকার ভেতর প্রচুর শক্তিশালী গ্রেনেড যাকে আর্জেস গ্রেনেড বলা হয়।
তিনি বলেন, এ স্থানটি আমাদের টিমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। যে কারণে আমাদের রোবট দিয়ে প্রথমে যেসব গ্রেনেড আছে, সেগুলো দেখার চেষ্টা করি অক্ষত আছে কি না। পরে সব গ্রেনেড আলাদা করা হয়। গ্রেনেডগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরে ইউনিটের দুজন সদস্য বম্ব স্যুট পরিধান করে লেগে থাকা প্রতিটি গ্রেনেডকে আলাদা করেন।
মাহমুদুজ্জামান আরও বলেন, নিষ্ক্রিয় করা গ্রেনেডগুলো মাটির মটকার ভেতর পলিথিন দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। এ জাতীয় গ্রেনেড ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। এগুলো খুবই শক্তিশালী। তবে গ্রেনেডগুলো কত সালে এবং কোন দেশের তৈরি তা দেখা যায়নি। ঢাকায় বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কাছে এর নমুনা পাঠানো হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বিষয়গুলো জানা যাবে। গ্রেনেডগুলো কারা কখন কীভাবে রেখেছে, তা তদন্তের পরই জানা যাবে।
স্থানীয়রা জানান, জেলা শহরের দক্ষিণ ছায়াবীথির বোম্বাইবাড়ি এলাকায় সৌদিপ্রবাসী আবুল কাশেম চার বছর আগে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে তিন কাঠার একটি প্লট কেনেন। তিনি সেখানে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করার জন্য মাটি কাটার কাজ করাচ্ছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকরা মাটি কাটতে গিয়ে প্রায় চার ফুট গভীরে একটি মটকা দেখতে পান। কোদাল দিয়ে আঘাত করার পর মটকাটি ভেঙে গ্রেনেডসদৃশ বস্তু দেখতে পান তারা। পরে আতঙ্কিত হয়ে কাজ বন্ধ করে বাড়ির মালিক ও স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। বাড়ির মালিক পুলিশকে খবর দেন।
বাড়ির মালিক আবুল কাশেম বলেন, ‘শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি জানায়। পরে প্রথমেই ‘৯৯৯’ এ কল দিই।’
সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, ‘গ্রেনেডসদৃশ কিছু বস্তু পাওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশের লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। জায়গাটির গেটে তালা দিয়ে ঢাকায় বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়। পেরে তারা গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।’
মন্তব্য করুন