শরীয়তপুরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ , ১০:৪৬ এএম


শরীয়তপুরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
আব্দুল মান্নান খাঁ। ছবি : আরটিভি

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় আব্দুল মান্নান খাঁ (৪২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের চর সোনামুখী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পালং থানা পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল মান্নান খাঁ রুদ্রকর ইউনিয়নের মৃত হানিফ খাঁর ছেলে। তিনি রুদ্রকর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তার স্বামী একজন ওমান প্রবাসী। স্বামীর কাছে বিদেশ যাওয়ার জন্য ওই নারী কিছুদিন পূর্বে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের আমিন বাজার এলাকায় সরকারি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানে বসে পরিচয় হয় ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। এরপর গত ২৫ জুন রাতে ৯টার দিকে তিনি মাদারীপুর থেকে শরীয়তপুর ট্রেনিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে আসছিলেন। পথিমধ্যে ওই নারীকে বহনকারী অটোরিকশাটি থামিয়ে তার মুখ বেঁধে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান রুদ্রকর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁ, ইদ্রিস আলী, কালাচান খাঁসহ অজ্ঞাতনামা আর ৩ থেকে ৪ জন ব্যক্তি। এ সময় ওই নারী তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালালে তারা তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই নারীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যান তারা। পরে ওই নারী স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ ঘটনায় গত ৩০ জুন যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান খাঁ, ইদ্রিস আলী, কালাচান খাঁসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৪ জন ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার সুবাদে ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমি যখন ট্রেনিং সেন্টারে যাচ্ছিলাম ইদ্রিস আলীসহ বেশ কয়েকজন আমার মুখ চেপে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ করে রাখে। আমাকে তারা মারধরও করেছে। আমি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। পরে তারা আমার স্পর্শকাতর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ঘটনার ৫ দিন পর আদালতে মামলা করি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁ যদি সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। তাকে বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।’ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission