প্রশ্নফাঁস: পানি বিক্রি করা দুই ভাই এখন গাড়ি-বাড়ির মালিক

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ , ০৭:৪৮ পিএম


প্রশ্নফাঁস: পানি বিক্রি করা দুই ভাই এখন গাড়ি-বাড়ির মালিক
ফাইল ছবি

‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে গত ১২ বছরে পিএসসির অধীনে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা। এ অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৭ জনের ২ জন হলেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ইচাইল গ্রামের মো. সাহেদ আলীর ছেলে মো. সাখাওয়াত হোসেন (৩৪) ও সাইম হোসেন (২০)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ জুলাই) সরেজমিনে ইচাইল গ্রামে তাদের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া গেছে বেশ কিছু তথ্য।

জানা গেছে, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার সাখাওয়াত ও সাইমের বাবা সাহেদ আলী অন্তত ৪০ বছর ধরে নগরীর দিঘারকান্দা বাইপাস এলাকার কাদুরবাড়ি মোড়ে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন। নগরের আকুয়া বাইপাস এলাকায় ভাগনি কমলা খাতুনের বাসায় থাকেন তিনি। গত ১২ বছর আগে তাদের মা মারা গেলে মামারা দুই ভাইকে ঢাকায় নিয়ে যান। গ্রামে দুই ভাই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অ্যাসিড-পানির ব্যবসা করতেন। পরে ঢাকায় এসে পানির ফিল্টারের ব্যবসা শুরু করেন। এখন ঢাকায় একটি ফ্লাট বাড়ি করছেন সাখাওয়াত। ময়মনসিংহের বাইপাসে জমি রয়েছে তার। সাদা রঙের প্রাইভেটকারে করে বাড়িতে আসতেন দুই ভাই। মানুষের সঙ্গে কথা বলতেন না। এলাকায় এলেও তারা দোকানে এসে চা পান করে চলে যেতেন। সর্বশেষ গত রোজার ঈদে দুই ভাই বাড়ি এসেছিলেন। তাদের বাবার ভিটাতে একটি পুরোনো আধাপাকা ঘর আছে, সেখানে তাদের ফুফু জমেলা খাতুন ও ফুফাতো বোন আছিয়া বেগম থাকেন। 

বিজ্ঞাপন

সাখাওয়াতের এক বন্ধু বলেন, ‘একসময় সাখাওয়াতের পরিবার কষ্ট করে জীবনযাপন করেছে। হঠাৎ আর্থিক অবস্থার এত পরিবর্তন কীভাবে হলো তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ ছিল। এখন পরিষ্কার হচ্ছে।’

এই সহোদরের ফুফাতো বোন আছিয়া বেগম বলেন, ‘সাখাওয়াত ও সাইমরা ৪ ভাই-বোন। দুই বোনের মধ্যে সানজিদা আক্তার ঢাকায় একটি ব্যাংকে চাকরি করেন, আর ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজে পড়েন ছোট বোন সুমাইয়া আক্তার।’

তাদের ফুফু জমেলা খাতুন বলেন, ‘বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পড়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন তার দুই ভাতিজা। তারা আগে গ্রামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অ্যাসিড-পানির ব্যবসা করতেন। পরে বাড়িতে জমি বিক্রি করে ঢাকায় গিয়ে দুই ভাই ব্যবসা করতেন।’

বিজ্ঞাপন

তাদের মামাতো ভাই মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সাখাওয়াত ঢাকার রাজারবাগ এলাকায় থেকে ব্যবসা করতেন। পরে সাইমও একই কাজে যুক্ত হন। যে গাড়িটি করে তারা বাড়ি আসেন সেটি কিস্তিতে কিনেছেন।’

সাখাওয়াত ও সাইমের বাবা সাহেদ আলী বলেন, ‘বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে ও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আমার ছেলেরা ব্যবসা করছিল। তারা ব্যবসার সুবিধার জন্য ২ বছর আগে ১১ লাখ টাকা দিয়ে একটি প্রাইভেটকার কিনেছে। আমার ছেলেদেরকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।’

তবে কারা ষড়যন্ত্র করে ফাঁসাচ্ছেন তার উত্তর দিতে পারেননি সাহেদ আলী।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission