• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

বন্ধুর ফোনে রেখেছিলেন প্রেমিকার ছবি-ভিডিও, ফেরত না দেওয়ায় খুন

আরটিভি নিউজ

  ১০ জুলাই ২০২৪, ২২:০৯
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারে মোবাইলে রাখা প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফেরত না দেওয়ায় আবদুল্লাহ আল মামুনকে (৩০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করিয়েছেন তার বন্ধু মো. শাহেদ হোসেন (৩০)।

বুধবার (১০ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ শরীফুল আহসান। নিহত আবদুল্লাহ আল মামুন খুরুলিয়া ঘাটপাড়ার মৃত নবী হোসেনের ছেলে। আর হত্যার পরিকল্পনাকারী মো. শাহেদ হোসেন কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার মাছুয়াখালী সিকদারপাড়ার মতিউর রহমানের ছেলে। তবে তিনি কক্সবাজার শহরে থাকেন।

মেজর মোহাম্মদ শরীফুল আহসান বলেন, ঈদগাঁও উপজেলার এক মেয়ের সঙ্গে শাহেদ হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক চলাকালে তারা দুজনেই কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। একসময় মেয়েটির সঙ্গে শাহেদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মেয়েটি শাহেদের মুঠোফোন থেকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলতে তাগাদা দিতে থাকেন, তা-ও মেয়েটির উপস্থিতিতে মুছে ফেলতে হবে। তাতে রাজি হন শাহেদ। কিন্তু প্রেমিকার সামনে গিয়ে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলার আগে তা সংরক্ষণের জন্য বন্ধু আবদুল্লাহ আল মামুনের মুঠোফোনে প্রেরণ করেন। এরপর প্রেমিকার সামনে গিয়ে ওই ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলেন শাহেদ। পরে শাহেদ প্রেমিকার ছবি ও ভিডিও ফেরত চাইলে তা দিতে অনীহা প্রকাশ করতে থাকেন আবদুল্লাহ আল মামুন। নানা চেষ্টার পরও ছবি ও ভিডিও ফেরত না পেয়ে ক্ষুব্ধ শাহেদ মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ জুলাই রাত আনুমানিক আটটার দিকে আবদুল্লাহ-আল-মামুনকে হোয়াটসঅ্যাপে কল নিয়ে শাহেদ হোসেন কক্সবাজার শহরের বাজারছড়া বাজারে আসতে বলেন। তখন মামুন তাদের বিক্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। শাহেদের কথামতো মামুন মোটরসাইকেল নিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে বাহারছড়া বাজারে পৌঁছান। কিছুক্ষণ পর মামুনের মোটরসাইকেলের পেছনে বসেন শাহেদ। তারপর দুজন রওনা দেন ঈদগাঁও উপজেলার কালিরছড়া বাজারের দিকে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসী শাহীন প্রকাশ লালু ডাকাতের লোকজন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এরপর পরিকল্পনামতো ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা মামুনের কাছ থেকে মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে শাহেদের হাতে তুলে দেন। এরপর শাহেদ মোটরসাইকেল নিয়ে কক্সবাজার ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা মামুনকে হত্যা করে রশি দিয়ে হাত–পা বেঁধে মরদেহ রেললাইনের পাশে ফেলে রাখে। গভীর রাতে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা শাহেদের মুঠোফোনে (ইমো) কল দিয়ে বলেন, ‘খেলা শেষ’।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মামুনের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে রামুর রশিদনগর ইউনিয়নের খাদেমের পাড়া গ্রামের রেললাইনের পূর্ব পাশে ফেলে রাখা হয়। গত রোববার সকাল ১০টার দিকে যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। এরপর রামু থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে রাতে গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে রামু থানায় নিহত মামুনের ছোট ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে শাহেদ হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসে।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মেজাজ হারিয়ে যা বললেন আলিয়া, ভিডিও ভাইরাল
সাবেক এমপি বদিকে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর 
সালমান-শাবনূরের ডাবিং রুমে খুনসুটি দেখে ফেলেন সামিরা, রাতেই রহস্যজনক মৃত্যু
কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযান, গ্রেপ্তার ৮