২২ দিন পর কুড়িয়ে পাওয়া মর্টার শেল ধ্বংস করল সেনাবাহিনী
পঞ্চগড়ে ২২ দিন আগে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টার শেল ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকা থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে একটি বাঁশঝাড়ের পাশে সেনাবাহিনীর রংপুর-৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দীনের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল সফলভাবে মর্টার শেলটি ধ্বংস করে।
এ সময় মর্টার শেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। মর্টারশেল ধ্বংসের আগে ওই এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে দূর থেকে মর্টার শেল ধ্বংস দেখতে ওই এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেন।
এ সময় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দলসহ বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর রংপুর-৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দীন বলেন, মর্টারন শেলটি ৫১ মিলিমিটার প্যাকেট বোম। মর্টারশেলটি মরিচা পড়ার কারণে এটার তৈরির বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছে পাওয়া মর্টার শেলটি বিজিবি ওই দোকানের বাইরে গর্ত করে সংরক্ষণ করেছিল। এটি আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সফলভাবেই মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।’
এর আগে, গত ২৩ জুন তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা বাজারে এক পাথর শ্রমিক মহিলা মর্টার শেলটি লোহার দণ্ড মনে করে বাজারের ভাঙারি ব্যবসায়ী আল আমিনের দোকানে নিয়ে আসেন। পরে ওই ব্যবসায়ী দেখে মর্টারশেল সন্দেহ হলে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লোহার দন্ডটিকে মর্টার শেল নিশ্চিত হলে দোকানের পেছনে গর্ত করে পুঁতে রাখেন। পরে রোববার (১৪ জুলাই) মর্টার শেলটি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।
মন্তব্য করুন