চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এনজিও’র কিস্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে উপজেলার বাড়বকুণ্ড মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম বিবি খাদিজা ওরফে পুতুল বেগম (৫০)। তিনি ওই এলাকার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, পুতুল বেশ কয়েকটি এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সোমবার সকালে দুটি এনজিওকে সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এর আগে রোববার (১৪ জুলাই) রাতে কিস্তির টাকা নিয়ে তার বড় ছেলে আবদুল আলীমের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। ছেলে কিস্তির টাকা না দিয়ে মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, রাতের যেকোনো সময় নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নারী। সকালে ঘরের দরজা খোলা দেখে তার ছোট ছেলে আবদুল আজিজ সায়েম মায়ের ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর ভেতরে মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে আশপাশের প্রতিবেশীদের ডাকেন। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বিষয়টি দেখার পর স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করেন। তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্ল্যাহ মিয়াজী বলেন, নিহত ওই নারী একেবারেই হতদরিদ্র। আজ দুটি এনজিওর সংস্থার কিস্তি পরিশোধের কথা ছিল তার। কিস্তির টাকা জোগাড় করতে না পারায় মানসিক চাপে পড়ে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির খবরের ভিত্তিতে নিহত ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের অনুরোধে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।