• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

‘সাভারে হকাররাও জ্বালাও-পোড়াও করেছেন’

আরটিভি নিউজ

  ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৫
‘সাভারে হকাররাও জ্বালাও-পোড়াও করেছেন’
ছবি : সংগৃহীত

হকাররাও নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সাভারের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে সাভার মডেল থানা চত্বরে এক প্রেস বিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, সরকারবিরোধী দুটি রাজনৈতিক দল সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে কোটা আন্দোলনে। এর সঙ্গে জেলা পুলিশের উদ্যোগে রাস্তাগুলোকে মানুষের চলাচলের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে পুলিশ হকার উচ্ছেদ করেছিল। সেই হকাররাও নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন। এই সম্মিলিত গোষ্ঠীর মূলত উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রটাকে অকার্যকর করা ও সরকারকে উচ্ছেদ করা।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক দিন পূর্বে নৈরাজ্যকারী ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের দ্বারা যে নৈরাজ্য তৈরি করা হয়েছিল, তা পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কাজ করে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। যে সকল নৈরাজ্যগুলো সৃষ্টি হয়েছে, তা পরিদর্শন করেছি। প্রায় ২০টির ওপরে প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও তছনছ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাভারে পশু সম্পদ অফিসে ভাঙচুর ও তছনছ করা হয়েছে। সেখানে গাড়িতে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। প্রায় ৩-৪ হাজার লোক ৩ দিন ধরে নৈরাজ্য চালিয়েছিল। প্রকৃত পক্ষে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল শিক্ষার্থীদের। যারা নাশকতাকারী, সরকার এবং রাষ্ট্রকে নির্মূল করে দিতে চায়, রাষ্ট্রকে অচল করে দিতে চায়, তাদের দ্বারা কোটাবিরোধী আন্দোলনটা একেবারেই হাইজ্যাক হয়ে যায়। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে কেউ ছাত্র ছিলেন না।

ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে যে ছাত্ররা ছিল, তারা এই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াওয়ে বাংলাদেশের কোথাও অংশগ্রহণ করেননি। আমাদের কাছে ভিডিও আছে। যারা করেছে, তারা হলো দুষ্কৃতকারী। তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে এবং সরকার পতনের মধ্য দিয়ে ফায়দা লুটতে চেয়েছিল।

সাভারে হকারদের জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ডিআইজি বলেন, হকাররা কোনো দলের এবং কে কোনো পারপাস সার্ভ করেছে, তা আমরা দেখবো না। যারা অপরাধ করেছে, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তা তদন্তের মাধ্যমে উঠে আসবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার, ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহিল কাফী, সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জ্বালাও-পোড়াও, খুন বিএনপির একমাত্র গুণ : প্রধানমন্ত্রী