‘ওরে কেন গুলি কইরা মারল, আমারে বাবার কাছে নিয়া যাও’
‘আমার ছেলে দুপুরে খাইয়া কারখানায় যাইতেছিল। ও তো আন্দোলন করে নাই। ওরে কেন গুলি কইরা মারল? আমার একমাত্র ছেলে! আমি এখন কি নিয়া বাঁচমু। আমার বাবার কাছে আমারে নিয়া যাও।’
শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিজের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এভাবেই কান্না করছিলেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার সময় নিহত শিহাবের মা নাছিমা বেগম।
জানা গেছে, ঢাকার বাড্ডার লিংকরোড এলাকার ‘হাসান স্টিল অ্যান্ড ফার্নিচার’ এ কাজ করত শিহাব। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খেতে যায় সে। খাবার শেষ করে পাশেই কারখানায় (ফার্নিচার) ফিরতে গিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় একটি গুলি এসে বিদ্ধ হয় শিহাবের শরীরে। বুকের পাশ দিয়ে বিদ্ধ হয়ে অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায় গুলি। তখন ওই এলাকার মসজিদের এক ইমাম শিহাবের সঙ্গে ছিলেন। পরে খবর পেয়ে ফার্নিচার দোকানের মালিক ফুফাতো ভাই মনির মোল্লা স্থানীয় এক হাসপাতালে গিয়ে শিহাবকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বনশ্রী এলাকার নাগরিক স্পেশালাইজড প্রাইভেট হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গত শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায় শিহাবের মরদেহ। পরে শনিবার (২০ জুলাই) তার দাফন সম্পন্ন হয়।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শিহাব কীভাবে মারা গেছে জানা নেই। তবে, বিষয়টি দুঃখজনক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
মন্তব্য করুন