শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার বিজয়পাড়ায় একই পরিবারের চার জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বিজয়পাড়ার নিজবাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন বিজয়পাড়ার বাসিন্দা কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া (৩৩), তার স্ত্রী জান্নাত আক্তার (২৫), তাদের দুই কন্যা ফারিয়া আক্তার (৪) ও ফাহিমা আক্তার (২)।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। তাৎক্ষণিক তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
আবেগঘন চিরকুট লিখে মুক্তিযোদ্ধার আত্মহনন
চট্টগ্রামে সন্তানদের কাছে আবেগঘন ‘চিরকুট লিখে’ ক্যান্সার আক্রান্ত এক মুক্তিযোদ্ধা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে নগরীর ডবলমুরিং থানার নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি।
নিহত আবু সাইদ সরদারের দুই ছেলে ইমন ও সায়মন এবং পায়েল নামে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি ওই বাসায় তার ছেলে ইমনের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
ডবলমুরিং থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বায়েজিদ মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনতলা ভবনটির ভাড়া বাসার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ওই কক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।
মূলত নোটগুলো লেখা হয়েছিল নিহতের দুই ছেলে, এক মেয়ে ও নাতির কাছে। সুইসাইড নোটগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এসআই বায়েজিদ মিয়া বলেন, মূলত ক্যান্সার রোগের কারণে উনি খুব কষ্টে ছিলেন। গত ১৩ ডিসেম্বর তিনি আরেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সুযোগ না পাওয়ার কারণে তা হয়নি।
জানা যায়, নিহতের কক্ষ থেকে ৬টি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের নিকট আবেগঘন কিছু লেখা তিনি লিখেছেন। এ ছাড়া তার মৃত্যুর কারণ ও মৃত্যুর পর কিছু করণীয়ের ব্যাপারে তিনি সন্তানদের কিছু দায়িত্ব দেন।
সুইসাইড নোটগুলোতে তিনি লেখেন, নিজের ক্যান্সার রোগের এত চিকিৎসার পরও কষ্ট আর সহ্য করতে না পেরে অগত্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম। এসময় তিনি তার সন্তানসহ সবার কাছে ক্ষমা চান।
মেয়ে পায়েলকে লেখা সুইসাইড নোটে তিনি লিখেন, ক্যান্সার মনে হয় ফের ফিরে এসেছে। মুখে ঘা ও মাঝে মাঝে ব্যাথা করে। আসলে এ রোগের কোনও চিকিৎসা আছে বলে মনে হয় না। ইদানিং ক্যান্সারে কষ্ট পাচ্ছি।
সুইসাইড নোটে আবু সাইদ সরদারকে তাকে নগরীর চৌমহুনী কবরস্থানে নিজের মায়ের পাশে দাফনের জন্য বলে যান।
পুলিশ ধারণা করছে, মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ সরদার অনেকটা ভেবে-চিন্তে সময় নিয়ে এ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু সাইদ সরদার তার ছোট ছেলের পরিবারের সঙ্গে ওই বাসাতে থাকতেন।
আরটিভি/একে
জাহাজে সাতজনকে হত্যা: কাগজে যা লিখেছেন বেঁচে থাকা জুয়েল
চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে থেমে থাকা একটি জাহাজে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জাহাজে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে জুয়েল নামের এক ব্যক্তি জীবিত আছেন।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, গলা আংশিক কাটা থাকায় কথা বলতে পারছিলেন না জুয়েল। এসময় তিনি কাগজে অনেক কষ্টে তার নাম ও মোবাইল নম্বর লিখেছেন জুয়েল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার আজিজুল ও মাজেদুল এবং লস্কর সবুজ শেখ। এদের বাড়ি নড়াইল ও ফরিদপুর জেলায়।
নৌ পুলিশের এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘৯৯৯-এ খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপারসহ একটি টিম নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। যে জাহাজটিতে মরদেহ পাওয়া গেছে সেটির নাম এমভি আল-বাখেরা। জাহাজটি মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে মাঝির চরে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। ওই জাহাজের বিভিন্ন কক্ষে পাঁচজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় ছিল। চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে তাদের মধ্যে দুজন মারা যান। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কীভাবে সাতজনের মৃত্যু হলো তা এখনো জানা যায়নি। তবে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাহাজের মালিকের বক্তব্য অনুযায়ী সারবোঝাই জাহাজটি চট্টগ্রামের কাফলু থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে যাচ্ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি আজ সিরাজগঞ্জে এসে পৌঁছার কথা ছিল। কিন্তু জাহাজের খবর না পেয়ে জাহাজের মালিক অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে অন্য জাহাজের কর্মচারীর মাধ্যমে তার জাহাজটি চাঁদপুরে মেঘনা নদীর পাড়ে আছে শুনে ৯৯৯-এ পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক এবং কোস্ট গার্ডের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নৌ পুলিশ এবং কোস্ট গার্ডের যৌথ অবস্থানে নিহতদের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। এ ব্যাপারে নৌ পুলিশ দুটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘এটি হত্যাকাণ্ড নাকি ডাকাতি, নাকি তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরটিভি/এসএপি
আখাউড়ায় নারীকে পুড়িয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক নারীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ফারহান রনি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
তবে নিহত নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার মাথাহীন দেহের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। হাতে চুরি থাকায় দেহটি নারী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গাজীর বাজার এলাকায় এনামুলের বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। সকালে হাঁস খুঁজতে গিয়ে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। সেখানে থাকা ফারহান রনি পাতা পোড়াচ্ছেন বলে জানান। তার কথা বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক তার ভাই রোমানকে নিয়ে ঘরে কী আছে, সেটি দেখতে চান। এ সময় ফারহান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারার হুমকি দেন। সন্দেহ ঘনীভূত হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন গর্তে পুড়তে থাকা মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) শাহীনূর ইসলাম বলেন, ‘মরদেহের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআইকে খবর দেওয়া হয়েছে।’
আরটিভি/এমকে-টি
গর্তে ঢুকিয়ে নারীকে পুড়িয়ে হত্যা, পরিচয় শনাক্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় গর্তে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলা নারীর মাথা উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলের পাশে একটি পুকুর থেকে তার মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই নারীর নাম হরলুজা বেগম (৫০)। তিনি উপজেলার হীরাপুর এলাকার নুরুল ইসলাম বেপারীর স্ত্রী।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ফারহান রনি নামে এক যুবককে ধরে থানায় সোপর্দ করেছেন। ফারহান উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি চিহ্নিত মাদকসেবী।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে এসে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার জায়গায় পরিত্যক্ত টিনের ভাঙ্গা ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ পান তিনি। কিসের ধোঁয়া জানতে চাইলে সেখানে থাকা ফারহান রনি জানান যে তিনি পাতা পোড়াচ্ছেন। এ কথায় বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক দুই ভাই এনামুল ও রোমান এবং তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে কি দেখতে চান। এ সময় ফারহান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারার হুমকি দেন। এতে সন্দেহ হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন গিয়ে গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ বের করে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আগুনে পোড়া ওই মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় প্রথমে তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআই কাজ করে। দুপুরে ঘটনাস্থলের পাশের একটি পুকুর থেকে ওই নারীর কেটে ফেলা মাথা উদ্ধার করা হলে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক যুবক ভোরে ওই নারীকে ডেকে এনেছিলেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরটিভি/এএএ/এস
নারীকে গর্তে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে হত্যার কারণ জানা গেল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় গর্তে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হরলুজা (৫০) নামের এক নারীর মরদেহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রনি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজার এলাকা থেকে ওই নারীর পোড়া দেহ এবং বেলা ৩টার দিকে মাথা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমে বাধা দেওয়ার জেরে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার যুবকের নাম ফারহান ভূঁইয়া রনি। তিনি এলাকার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া শানুর ছেলে রনি। তিনি এলাকায় মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। হরলুজা একই ইউনিয়নের হিরাপুর কলোনি এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী। এই দম্পতির তিন মেয়ে আছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে এসে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার জায়গায় পরিত্যক্ত টিনের ভাঙ্গা ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ পান তিনি। কিসের ধোঁয়া জানতে চাইলে সেখানে থাকা ফারহান রনি জানান যে তিনি পাতা পোড়াচ্ছেন। এ কথায় বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক দুই ভাই এনামুল ও রোমান এবং তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে কি দেখতে চান। এ সময় ফারহান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারার হুমকি দেন। এতে সন্দেহ হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন গিয়ে গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ বের করে।
ওই নারীর পুরো শরীর পুড়ে যাওয়ায় এবং দেহে মাথা না থাকার কারণে প্রথমে লাশের লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি পুলিশ। পোড়া হাতে চুড়ি থাকায় দেহটি প্রাথমিকভাবে নারীর বলে ধারণা করা হয়। দুপুরে মাথা উদ্ধারের পর তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছে পুলিশ। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে রনিকে আটক করা হয়। আটক ওই যুবকের দেওয়া তথ্যমতে, ঘটনাস্থলের ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরে পুকুরের পাশের একটি ফসলি জমি খনন করে মাটির নিচ থেকে মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, প্রেমে বাধা দেওয়ায় ওই নারীকে তার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে হত্যা করা হয়। মরদেহ পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টা করছিলেন রনি।’
আরটিভি/এসএপি
প্রেমিকের মৃত্যুর খবরে প্রেমিকার আত্মহত্যা
প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের এক সংগীতশিল্পী।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) আত্মহত্যা করেন প্রেমিকা। এর আগে সোমবার গভীর রাতে আত্মহত্যা করেন প্রেমিক।
জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ এলাকার বিকাশ কর্মকারের ছেলে মদন কর্মকার বগুড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি সেখানে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মঙ্গলবার প্রেমিক মদনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে গ্যাস ট্যাবলেট খান শাহজাদপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও সংগীতশিল্পী সুদীপ্তা দাস কেকা। পরে পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে দ্রুত স্থানীয় পিপিডি হাসপাতালে নিলে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে বলেন। পরবর্তীতে সেখানে নিলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে তিনি বিকেলে মারা যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘মদন কর্মকার বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সুদীপ্তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। তবে সুদীপ্তাকে তিনি বুঝতে দেননি যে তিনি বিবাহিত। মদনের কর্মস্থল বগুড়ায় হওয়ায় সুদীপ্তা মাঝে মধ্যেই সেখানে গিয়ে দেখা করতেন।’
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সুদীপ্তা দাস কেকার মরদেহ এখন থানায় রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমিকের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তদন্ত শেষে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
আরটিভি/এসএপি
জাহাজের ৭ জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা: র্যাব
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে ৭ জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঘাতক আকাশ মণ্ডল ইরফানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।
কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না, এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতে। এসবের ক্ষোভ থেকে আকাশ মন্ডল ইরফান সবাইকে হত্যা করেন।
তিনি জানান, ইরফান প্রথমে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করে। পরে হাতে গ্লাভস পড়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সবাইকে কোপানের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইম চর এলাকায় এসে অন্য একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যান।
মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার সময় অন্যরা দেখে ফেলায় ইরফান তাদেরও হত্যা করে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
এর আগে, গত রোববার চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে থেমে থাকা একটি জাহাজে সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরটিভি/এসএপি