টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে ধর্ষণ, সহযোগীসহ অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর করা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম টিক্কা (৫০) ও তার সহযোগী মো. খোকনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরেক সহযোগী মো. মনির (২৩) পলাতক রয়েছেন।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাইচাইল গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা শহিদুল ইসলাম টিক্কা স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর বাড়ি ঘাটাইলের পার্শ্ববর্তী উপজেলা গোপালপুরের বুটিয়া গ্রামে। তার স্বামী মো. শামীম মণ্ডল ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। তিনি ছুটিতে এসেছেন ১৮ জুলাই। ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামে মো. শমসের ওরফে শমের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে তিন তলার একটি ফ্লাটে থাকেন তারা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাইচাইল গ্রামের আতাব আলী খানের ছেলে শহিদুল ইসলাম টিক্কা বাড়ির মালিক শমসেরের নিকটাত্মীয়। তাই টিক্কার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে। শনিবার দুপুরে গৃহবধূর স্বামীর খোঁজ করতে ফ্ল্যাটে যান অভিযুক্ত টিক্কা ও তার দুই সহযোগী ঘাটাইল খরাবর গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে মো. খোকন (৪০) ও বাইচাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে মো. মনির (২৩)। স্বামী ফ্লাটে নেই জানানোর পরও জোর করে টিক্কা কক্ষে প্রবেশ করেন এবং দুই সহযোগীকে বা্ইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এ কথা শোনার পর কক্ষ থেকে গৃহবধূ দৌড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে টিক্কা তাকে টেনে ধরেন এবং দুই সহযোগী দরজা বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে জোর করে গৃহবধূকে টেনেহিঁচড়ে শয়নকক্ষে নিয়ে যান টিক্কা এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। গৃহবধূ কান্নাকাটি শুরু করলে টিক্কা তাকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে ওই গৃহবধূ ফোনে বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে তিনি বাড়ি এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে রাতে থানায় এসে শহিদুল ইসলাম টিক্কাসহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
এ দিকে মামলা হওয়ার পরপরই ঘাটাইল থানা পুলিশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। প্রযুক্তির সহযোগিতায় দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে প্রধান অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম টিক্কা ও তার সহযোগী মো. খোকনকে গ্রেপ্তার করেন। আরেক সহযোগী মনির পলাতক।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা শহিদুল ইসলাম টিক্কা স্বীকার করেছেন। সহযোগী খোকনসহ টিক্কাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণের সহযোগী আরেকজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন