ভিডিও কনফারেন্সে জেএমবি সদস্যের হাজিরা
বরিশালে প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেএমবি সদস্যের হাজিরা গ্রহণ করেছেন আদালত।
রোববার (২৮ জুলাই) বরিশালের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ভার্চুয়াল আদালতের বিচারক মোস্তফা পাভেল হায়দার এ হাজিরা গ্ৰহণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ভার্চুয়াল আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে কারান্তরীণ জেএমবি সদস্য আতিকুর রহমান বাবু ওরফে শাওন ওরফে সাইফুল্লাহকে আদালতে আনা হয়নি। কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ মোড়খালী এলাকার মৃত গোলাম কবির মাতব্বরের ছেলে।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের করা পৃথক দুটি মামলার চার্জশিটভুক্ত মামলার আসামি জেএমবি সদস্য বাবু। দুইটি মামলায় রোববার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ধার্য দিনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার হাজিরা নিয়েছেন আদালত। ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট নগরীর দরগাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-৮ এর একটি দল। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১২ জনের একটি দল পালিয়ে যায়। এ সময় বিদেশি পিস্তল, গুলি, ব্যাটারি, সার্কিট, জিহাদী বইসহ জেএমবির এক সদস্যকে আটক করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ১ সেপ্টেম্বর র্যাবের ডিএডি লুৎফর রহমান বাদী হয়ে নামধারী ৬ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৬ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আতিকুর রহমান বাবু।
জানা যায়, মামলার এক মাস পর ২৯ সেপ্টেম্বর নগরীর জিয়া সড়ক নয়াকান্দা এলাকায় র্যাব-৮ এর আরেকটি দল অভিযান চালায়। ওই দলটি বিদেশি পিস্তল, জিহাদি বই, দুইটি পাসপোর্টসহ জেএমবি সদস্য আতিকুর রহমান বাবুকে গ্রেপ্তার করে।এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় র্যাবের ডিএডি মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। দুটি মামলা বর্তমানে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন