‘আন্দোলনে অছাত্রদের প্রবেশে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে’
আন্দোলনে অছাত্ররা অংশ নেওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। সম্প্রতি এ তথ্য জানান তিনি।
সিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অছাত্রদের প্রবেশের পরই হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। আর দুর্বৃত্তরা আন্দোলনে নাশকতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছিল। তাদেরকে চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এ দিকে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে চলা সংঘর্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জুলাই মুরাদপুরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কক্সবাজারের ওয়াসিম আকরাম, এম ই এস কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমদ শান্ত ও ফার্নিচার ব্যবসায়ী কুমিল্লার মো. ফারুক।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুলাই মারা যান বাসের শ্রমিক আবদুল মজিদ। তিনি বহদ্দারহাটে ১৮ জুলাই দগ্ধ হন। একই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কক্সাবাজারের মহেশখালীর তানভীর ও সন্দ্বীপের সাইমুন। এছাড়া ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তড়ুয়া। পরে ২৩ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা যান।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। আর ঘটনার সময় মারা গেছেন ৫ জন। মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ২০৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৮ জন।’
মন্তব্য করুন