কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আরিফের পরিবারে মাতম
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত চাঁদপুরের আরিফ হোসেন রাজিবের (২৬) পরিবারে কান্না এখনও থামেনি। নিহতের স্ত্রী শরীফা বেগম ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে উঠে বলেন, ‘আমার স্বামীর রাইখা যাওয়া এই ৩ বছরের শিশু সন্তানরে লইয়া অহন আমি কেমনে বাঁচুম? খাওন-পরন আইবো কেমনে? চোখে মুখে আমি অহন শুধু অন্ধকারই দেখতাছি। পোলাডা কিছু খায় না। খালি কান্দে আর কয় বাবা তার লাইগা চকলেট আনতে গেছে। বাবা আইলেই সে ভাত খাইবো। এমন পরিস্থিতিতে কন (বলেন) আমি অহন কি করুম?’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের সময় গত ২০ জুলাই শনিবার গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আরিফ হোসেন রাজিব।
আরিফের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের টরকী এওয়াজ গ্রামে। তার বাবা রজ্জব প্রধান। আরিফের স্ত্রী ছাড়াও ৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম নামে একমাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে।
ভাঙ্গারী দোকানে কাজ করার কারণে গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় বসবাস করতেন আরিফ হোসেন। গত ২০ জুলাই শনিবার ভাঙ্গারী দোকানে কাজে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে গাজীপুর সদর মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরিফ হোসেনের স্ত্রীর শরীফা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী (আরিফ) গত ২০ জুলাই শনিবার বিকাল ৩ টায় ভাঙ্গারী দোকানের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারি আরিফ গুলি খেয়ে আহত হন। পরে তাকে হাসপাতাল নিলে ডাক্তার জানান মারা গেছেন। পরে তাকে গত ২১ জুলাই মতলব উত্তর উপজেলার রাঢ়ীকান্দি কবরস্থানে দাফন করা হয়।’
মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ প্রধান বলেন, আমার জানা মতে আরিফ খুবই গরিব পরিবারের সন্তান। তিনি পরিবারসহ গাজীপুর থাকতেন। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তাই নিহত আরিফের পরিবারকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মন্তব্য করুন