কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নিহত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ ভূঁইয়ার মরদেহ দাফনের ৯ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২০ জুলাই ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের কালান্দর গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত মাসুদ পারভেজ ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী ইউনিয়নের কালান্দর গ্রামের মৃত আবদুল জব্বার ভূঁইয়ার ছেলে। মাসুদ পারভেজ নারায়ণগঞ্জ জেলায় পিবিআইয়ে পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
নিহত পরিদর্শকের স্ত্রী মেরিনা আক্তার জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত ১৯ জুলাই মাসুদ পারভেজ ভূঁইয়া রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় অবস্থিত বাসা থেকে বের হন। পরে তিনি (স্ত্রী) ফোনে জানতে পারেন তার স্বামীকে পিটিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের রায়েরবাজার পুলিশ তদন্ত কন্দ্রের পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, পিবিআইয়ের একটি দল কালান্দর গ্রামে এসে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে। এ সময় সেখানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, লাশ উত্তোলনের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
